ছাড়পত্র মিলেছে, ২৭ ডিসেম্বর মুক্তি 'মায়া - দ্য লস্ট মাদার'
অবশেষে সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন পেল সরকারি অনুদান পাওয়া চলচ্চিত্র ‘মায়া—দ্য লস্ট মাদার’। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে ২৭ ডিসেম্বরে। সে তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরিচালক মাসুদ পথিক নিজেই।
গত বৃহস্পতিবার সেন্সর বোর্ড ‘মায়া—দ্য লস্ট মাদার’ দেখার পর একাধিক দৃশ্য ও সংলাপের জন্য ছাড়পত্র দেয়নি। দৃশ্যগুলো কেটে ফেলা হলে ছবিটি ছাড়পত্র পেতে পারে বলে জানানো হয় সেন্সর বোর্ডের পক্ষ থেকে। আপত্তিকর দৃশ্যগুলো সংশোধন করে গত শনিবার আবারও সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয় ‘মায়া—দ্য লস্ট মাদার’। পরিচালক মাসুদ পথিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দৃশ্যগুলো বাদ দেওয়াটা আমিও যুক্তিসংগত মনে করেছি। এ ছাড়া এই চলচ্চিত্রের নতুন একটি পোস্টারও করেছি।’
‘মায়া—দ্য লস্ট মাদার’ ছবিটি নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালে অনুদান পেয়েছিল সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। কাজও শুরু হয় একই বছর। তবে সেটি শেষ করতে নানা কারণে সময় লাগে টানা তিন বছর। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ৭ সেকেন্ডের ছবিটি সেন্সর বোর্ডের সনদ পায়।
নতুন ছবি মুক্তির বিষয়ে ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ দিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া নির্মাতা মাসুদ পথিক বলেন, ‘আমি মূলত এই দুটি শিল্পকর্ম থেকে সিনেমায় দেখাতে চেষ্টা করেছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে। মুক্তিযুদ্ধে নারী নির্যাতন এবং যুদ্ধশিশুর সীমাহীন অনিশ্চয়তাকে। আসলে “মায়া—দ্য লস্ট মাদার” চলচ্চিত্র আমাদের শিকড়ের গল্প। দেশের সব শ্রেণির দর্শকদের কাছে একটা গভীর বার্তা পৌঁছে যাবে।’
মাসুদ পথিক বলেন, ‘এই সিনেমায় নতুন বাংলা, বাংলামাকে পাবেন, এটা আমার বিশ্বাস। ছবিটি তৈরি করতে গিয়ে গত তিন বছরে অনেক চড়াই-উতরাই পেরোতে হয়েছে আমাদের। অবশেষে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, ডিসেম্বরেই এটি মুক্তি দিচ্ছি। ধারাবাহিকভাবে গানগুলো প্রকাশ করা হবে ছবিটির নিজস্ব পেজ থেকে। আশা করছি, নিরাশ হবেন না দর্শক-সমালোচকেরা।’
মাসুদ পথিক বলেন, ‘“ওমেন” নামে প্রিয় শাহাবুদ্দিন ভাইয়ের পেইন্টিং আছে, যেখানে বীরাঙ্গনার একটি অবয়ব আছে। “যুদ্ধশিশু” নামে কামাল চৌধুরীর একটি কবিতা আছে। এই দুটি ছবি ও কবিতা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমার কাছে এটা একটা স্ট্রাগল, এটা একটা সংগ্রাম, এটা একটা লড়াই, এটা দার্শনিক যাত্রা।’
জ্যোতিকা জ্যোতি ছাড়াও ‘মায়া—দ্য লস্ট মাদার’-এ অভিনয় করেছেন ভারতের বিখ্যাত জাদুশিল্পী পিসি সরকারের মেয়ে মুমতাজ সরকার। ছবিতে যুদ্ধশিশুর ভূমিকায় দেখা যাবে প্রাণ রায়কে। আরও অভিনয় করেছেন দেবাশীষ কায়সার, সৈয়দ হাসান ইমাম, ঝুনা চৌধুরী, নারগিস আক্তার, লীনা ফেরদৌসী, শাহাদাত হোসেন, আসলাম সানী প্রমুখ।