চট্টগ্রামে নাচলেন গাইলেন তিশা
সময় তখন পড়ন্ত বিকেল। চট্টগ্রামের প্রথম ও একমাত্র সিনেপ্লেক্স ‘সিলভার স্ক্রিনের’ পর্দায় চলছে ‘মায়াবতী’। কিছুক্ষণ পর কয়েক মিনিটের বিরতি। এ সময় হলে ঢুকে পড়লেন মায়াবতীর পরিচালক অরুণ চৌধুরী, প্রযোজক আনোয়ার আজাদ আর ছবিটির মার্কেটিং কনসালট্যান্ট রুম্মান রশিদ খান। দর্শকেরা তাঁদের প্রশ্ন করছিলেন, ‘তিশা আসেননি?’
দর্শকের আগ্রহের পারদ বেশি না বাড়িয়ে একটু পরেই হলে ঢুকলেন ‘মায়াবতী’। তখন চারপাশ থেকে স্লোগান উঠল, ‘তিশা আপু, তিশা আপু।’ পর্দায় এতক্ষণ ধরে যাঁর অভিনয়ে মোহাবিষ্ট ছিলেন, স্বয়ং তিনিই চোখের সামনে! মায়াবতী ছবির প্রচারণায় গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে এসে এভাবেই দর্শকদের সাড়া পেলেন তিশাসহ অন্যরা।
কেন দেখতে হবে মায়াবতী, তা ব্যাখ্যা করলেন নুসরাত ইমরোজ তিশা । তিনি বললেন, ‘মায়াবতী দেখলে একজন সাধারণ মেয়েরও খুব বড় হতে ইচ্ছে করবে। ছোট গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসে যাঁরা একটু বড় পরিসরে নিজেদের দেখতে চান—তাঁরা মায়াবতী চরিত্রটির মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাবেন।’
চট্টগ্রামের দর্শকদের ভালোবাসায় মুগ্ধ তিশা। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে আসতে আমার সব সময় ভালো লাগে। এই শহরের মানুষের দারুণ ফিডব্যাক পাই। তাই আমার কোনো ছবি বের হলে আমি প্রথমেই বলি—চট্টগ্রামের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে যাচ্ছে তো? তাই বলছি, আপনারা সবাই মায়াবতী দেখবেন। কারণ, আপনারা যতই দেখবেন—ততই আমরা ভালো ছবি করতে উৎসাহিত হব।’
দর্শকদের সামনে কথা বললেন ছবিটির পরিচালক অরুণ চৌধুরী আর প্রযোজক আনোয়ার আজাদও।
এই ছবির সঙ্গে মিশে আছে চট্টগ্রামের নামও। সেটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার গান, ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’। তিশা গাইলেন সেই গানের কয়েক কলি। তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়ে গাইলেন হলভর্তি দর্শক। মোহাম্মদ সোলায়মান নামের এক দর্শক নাচলেন তিশার সঙ্গে।