ছোটবেলায় জয়াকে খরগোশ ডাকা হতো
অ্যাকশন!
শব্দটি কানে পৌঁছাতেই জয়া আহসান বলতে শরু করলেন, ‘ভালো রান্নার জন্য চায় অনুশীলন, তেমনই ভালো অভিনয়ের জন্য লাগে মহড়া...’
চিত্রধারণ শেষ হলো। পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী গালে হাত দিয়ে বললেন, ‘বাহ, দারুণ হয়েছে। খুবই সুন্দর বলেছ।’ এটুকু শুনেই যা বোঝার বুঝে গেলেন জয়া। বললেন, ‘শটটা আবার দিব?’ উত্তর এল ‘হ্যাঁ’। সেই ‘আবার’ শেষ হলো গুনে গুনে পাঁচবারের পর। অবশ্য এর দায় কিছুটা গাজরের। ‘ওকে’ হতেই একটু সযোগ পেয়ে বড় পর্দার জনপ্রিয় নায়িকাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘রান্না পারেন?’ উত্তর এল, ‘মেয়েদের রান্নাটা আসলে হাঁসের সাঁতার শেখার মতো। আলাদা করে শেখার কিছু নেই। এমনিতেই পারতে হয়।’ পরিচালক কাজটা খানিক সহজ করে দিলেন। তাঁর সঙ্গে চোখাচোখি হতেই বললেন, ‘জয়া আহসানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন, তাই জানতে এসেছেন?’ তারপর নিজেই একগাল হেসে উত্তর দিলেন, ‘নিজেকে কেমন যেন বয়স্ক বয়স্ক লাগে।’
গতকাল ছিল একটা বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের দ্বিতীয় দিন। ২৫ থেকে ৩০ জন ছোটাছুটি করে কাজ করছেন এফডিসির ৪ নম্বর ফ্লোরে। দৃশ্যগুলো বিশ্বস্ততার সঙ্গে নিজের মেমোরিতে ধারণ করছে জার্মানিতে তৈরি উন্নতমানের ক্যামেরা, আরি অ্যালেক্সা। শুটিং শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। হাতের চা শেষ হওয়ার আগেই তৈরি হয়ে গেল নতুন সেট। এখানেই কিছুক্ষণ আগে রান্নাঘর বানিয়ে সবজি কেটেছেন জয়া আহসান। আর এবার তিনি ইয়োগা করবেন। সবজি কাটার সময় টুকরো গাজরগুলো কিছুতেই পরিচালকের কথা শুনছিল না। বারবার ছিটকে পড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু টমেটো আবার একটুও ছটফট না করে চুপ করে বসে ছিল। কেন? জয়া আহসান বলে দিলেন রহস্য। বললেন, ‘কী নিষ্ঠুর দেখুন না, টমেটোকে তো পেরেক দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।’ গাজরের প্রসঙ্গ আসতেই বললেন, ‘আমি ছোটবেলায় গাজর এত ভালোবাসতাম যে লোকে আমাকে খরগোশ বলে ডাকত।’
পরিচালক অমিতাভ রেজা চৌধুরী আর অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান দীর্ঘদিনের বন্ধু। তাই কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার এই নির্মাতা বললেন, ‘বন্ধু মানুষ তো। তাই কাজ করাটা সহজ’। অন্যদিকে জয়া বললেন, ‘মনেই হচ্ছে না কাজ করছি। একটা পিকনিক পিকনিক ব্যাপার।’ এই পিকনিক শেষ হতে হতে আজ রাত ১০টা।