‘“আম্মাজান” ছবির মান্না ভাইকে অনুসরণ করে এখানে অভিনয় করেছি’
মান্না অভিনীত ঢাকার চলচ্চিত্রে সুপারহিট ‘আম্মাজান’ সিনেমার বয়স ২৩ বছর হলো। এ উপলক্ষে ‘আম্মাজান’ নামে ঈদের নাটক তৈরি হচ্ছে। নাটকটির পরিচালক মাইদুল রাকিব জানালেন, ‘আম্মাজান’ সিনেমার কিছুটা অনুসরণ–অনুকরণ করে সিনেম্যাটিকভাবেই করা হচ্ছে নাটকটি। তবে গল্প ভিন্ন।
মাইদুল রাকিব বলেন, ‘“আম্মাজান” সিনেমাটিতে গানসহ অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসেবে মা, নায়ক, নায়িকা, ভিলেন নিয়ে যেভাবে সাজানো হয়েছিল; সেভাবেই ছোট পরিসরে সাজিয়ে করার চেষ্টা করছি। নাটকে একটি গানও আছে। তবে সিনেমার সেই “আম্মাজান” শিরোনামের গানটির সুর ঠিক রেখে কথাগুলো আলাদা করে লেখা হয়েছে।’
এই পরিচালকের কথা, ‘ঈদের সময় আমরা নানা ধরনের গল্পের নাটক দিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিতে চেষ্টা করি। এবারের ঈদে “আম্মাজান” হবে একটি ব্যতিক্রমী নাটক। ঈদের নাটকের নতুন মাত্রা দেবে।’
‘আম্মাজান’ ছবিতে মায়ের প্রতি যে ধরনের ভালোবাসা দেখা গেছে, এই নাটকেও মায়ের প্রতি এক সন্তানের পাগলামি ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে।
‘আম্মাজান’-এ নায়ক মান্নার চরিত্রের নাম ছিল বাদশা। নাটকে চরিত্রটির নাম সম্রাট। এটি করছেন অভিনেতা জয়।
জয় বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মান্না ভাইয়ের প্রচণ্ড ভক্ত। “আম্মাজান” ছবির মান্না ভাইকে অনুসরণ করে এখানে অভিনয় করেছি। ছবিতে মান্না ভাইয়ের এক্সপ্রেশন, গেটআপ, সংলাপ বলা—পুরোটাই অনুসরণ করেছি এখানে।’
জয় আরও বলেন, ‘কাজটি করতে গিয়ে যতটুকু বুঝতে পারছি, এবারের ঈদে মান্না–ভক্তদের বাড়তি আনন্দ দেবে নাটকটি। সব ধরনের দর্শক বেশ মজা পাবেন নাটকটিতে।’
‘আম্মাজান’ ছবিতে আম্মাজান চরিত্রটি করেছিলেন শবনম। এখানে মনিরা মিঠু। তিনি বলেন, ‘নাটকটিতে “আম্মাজান” সিনেমার একটা আবহ থাকলেও আম্মাজানের চরিত্রটি ঠিক আমার মতো করেই করেছি। জীবিত থাকতে মান্না ভাইয়ের সঙ্গে কখনো কথা হয়নি আমার। আবার শবনম আপাকেও সামনাসামনি কখনো দেখিনি। কিন্তু শুটিং করতে গিয়ে দুই দিন ধরে প্রয়াত মান্না ভাই, শবনম আপাকে খুব মিস করেছি আমি। খুব মনে পড়েছে তাঁদের দুজনকে।’
‘আম্মাজান’ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন তানজিম অনিক, বন্নি প্রমুখ।
ঈদুল আজহার অনুষ্ঠানমালায় নাটকটি একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হবে। পরপরই ইউটিউবে উঠবে এটি।
‘আম্মাজান’-এর চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই।