পারিবারিক অশান্তির নানা গল্প নিয়ে ‘সিটি লাইফ’

‘সিটি লাইফ’ নাটকের দৃশ্যমাছরাঙা টেলিভিশনের সৌজন্যে

উন্নত জীবনযাপনের জন্য গ্রামের সম্পত্তি বিক্রি করে তিন সন্তান নিয়ে ঢাকায় স্থায়ী হন মোর্শেদ মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রী রেণু। ঢাকায় এসে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তিন সন্তানের দ্রুত পরিবর্তন এবং পারিবারিক অশান্তির নানা গল্প নিয়ে নাটক ‘সিটি লাইফ’। আজ ১০০ পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করছে মাছরাঙা টেলিভিশনের এই ধারাবাহিক নাটক। শাহরিয়ার তাসদিকের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন নজরুল ইসলাম। অভিনয় করেছেন মুকিত জাকারিয়া, মিলি বাশার, আবদুল্লাহ রানা, শামীমা নাজনীন, এফ এস নাঈম, তানজিকা আমিন, নিশাত প্রিয়ম, পাভেল, তানজিম হাসান প্রমুখ।

পারিবারিক অশান্তির নানা গল্প নিয়ে নাটক ‘সিটি লাইফ’
মাছরাঙা টেলিভিশনের সৌজন্যে

নাটকের শুরুতে দেখা যায়, মোর্শেদ মাহমুদ তাঁর স্ত্রী, সন্তানদের চাপে গ্রামের সম্পত্তি বিক্রি করে ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনে স্থায়ীভাবে চলে এসেছেন। তাদের মতে, গ্রামে আধুনিক ও উন্নত জীবনযাপনের সুবিধা পাচ্ছে না তারা। সন্তানদের যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়ে ওঠার জন্য গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্ত্রী রেণু। প্রথম দিন থেকেই পাশের ফ্ল্যাটের গৃহকর্ত্রী তাঁদের বাসায় আসা শুরু করেন। সব বিষয়ে তাঁদের পরামর্শ দেন, আগ বাড়িয়ে সাহায্য করেন।

সারা দিন তাঁর এই আসা-যাওয়া একসময় রেণুর ভেতরে সন্দেহ তৈরি করে। শুরু হয় সংসারে অশান্তি। অন্যদিকে তাঁদের বড় মেয়ে প্রিয়ন্তী এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তানের প্রেমে পড়ে। অয়ন বখাটে টাইপের ছেলে। একমাত্র ছেলে সোহান শহরে আসার পর খুব দ্রুত বদলে যায়।

১০০ পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করছে ‘সিটি লাইফ’
মাছরাঙা টেলিভিশনের সৌজন্যে

বন্ধুবান্ধব, আড্ডা, ঘুরে বেড়ানো নিত্যনৈমিত্তিক কাজ হয়ে যায়। এ নিয়ে চিন্তিত মোর্শেদ। ছোট মেয়ে অবন্তীকেই শুধু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন। আর এই অবন্তীই একদিন পরিবারের সবচেয়ে বড় বিপদের কারণ হয়ে ওঠে।
প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় প্রচারিত হচ্ছে নাটকটি।