৩০ কেক কেটে মিমের জন্মদিন উদ্যাপন
দারুণ একটা দিন পার করলেন মডেল ও চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। জানালেন, একের পর এক ‘সারপ্রাইজ’ পেয়েছেন। মা–বাবা আর স্বামীর সারপ্রাইজ আঁচ করতে পারলেও বাকিগুলো নাকি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। এবারের জন্মদিন তাই সে হিসেবে অন্য রকম কেটেছে; আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে তেমনটাই জানালেন ‘আমার আছে জল’খ্যাত এই চিত্রনায়িকা।
মিম বললেন, ‘জন্মদিনের কেক কাটার আয়োজন শুরু হয় আগের দিন রাত ১২টা বাজার আগে। একের পর এক কেক এসেছে। পরদিন সকালে আবার কেক আসা শুরু হয়। রাতে যখন বাসায় ফিরে কেক কাটি, তখন মনে হয়েছে, ৩০টি কেক কাটা হয়েছে। মা–বাবা এবং সনির (মিমের স্বামী সনি পোদ্দার) কেক যেমন কেটেছি, বন্ধুবাবন্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাঠানো কেকও কেটেছি। সবাই ভালোবেসে পাঠায়, এই ভালোবাসা আমার কাছে অমূল্য, অতুলনীয়। আমি সবার এসব ভালোবাসা মাথায় তুলে রাখি। আশীর্বাদ মনে করি।’
বিনোদন অঙ্গনে লাক্স–চ্যানেল আই সুপারস্টার মিমের পথচলা ১৭ বছরের। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে পথচলা শুরু করা মিম নাটক, বিজ্ঞাপনচিত্র পেরিয়ে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০১৪ সালে খালিদ মাহমুদ মিঠুর ‘জোনাকির আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনয়শিল্পী নির্বাচিত হন মিম। গেল কয়েক বছরের মধ্যে ‘পরাণ’ এবং ‘দামাল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বেশ আলোচিত তিনি। এখন বিভিন্ন পণ্য প্রতিষ্ঠানের ফটোশুটের ব্যস্ত তারকা তিনি। মিম কসমেটিকস পণ্য প্রতিষ্ঠান রিমার্ক হারল্যানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও কাজ করছেন। এবারের জন্মদিনে সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ এই প্রতিষ্ঠান থেকে পেয়েছেন বলে জানালেন।
মিম বললেন, ‘অনেক আগে থেকেই আমার একটা কাজ ছিল। পূর্বপরিকল্পনামতো আমি গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি এলাহি কারবার। আমার জন্মদিন স্মরণীয় করে রাখতে তারা বিশালাকার কেক কাটে। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। কর্মক্ষেত্রের মানুষ যখন ভালোবেসে এভাবে আপন করে নেয়, তখন আসলে আবেগাপ্লুত হই। গতকাল তেমনই একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমি মনে করি, পরিবারের বাইরে রিমার্ক আমার আরেকটি পরিবার। এই পরিবারের সঙ্গে সর্ম্পকটা দিনকে দিন মজবুত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি আমাকে যেভাবে সারপ্রাইজ দিয়েছে, তাতে আমি আপ্লুত।’