সন্তানদের জীবনে বৈচিত্র্য আনতে যে পরামর্শ দিলেন অপি করিম
একটা সময় বাচ্চারা বাড়ির পাশের মাঠে খেলত। বিকেলে ঘুরতেও বের হতো। এখন পাড়া-মহল্লায় সেসব মাঠও আর খুব একটা নেই। থাকলেও বেশির ভাগ মাঠ সংকুচিত হয়ে গেছে। এদিকে সময়ের দ্রুত পরিবর্তনে প্রযুক্তির বিকাশও ঘটেছে দ্রুত। খেলার সঙ্গী হিসেবে নিত্যনতুন সব পণ্য বাচ্চাদের জন্য তৈরি হয়েছে। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানদের সময় পার করার জন্য মুঠোফোন কিংবা অন্য সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস হাতে দিয়ে থাকেন। ঘরে বসে থাকা সন্তানেরাও এসবে সময় পার করে দিচ্ছে। কিন্তু বাচ্চাদের এসবে বেশি অভ্যস্ত না করিয়ে ভিন্ন কিছুও ভাবা যেতে পারে বলে অনেক মা-বাবার অভিমত। দর্শকের প্রিয় অভিনেত্রী অপি করিমও সন্তানদের জীবনে বৈচিত্র্য আনতে বাবা-মায়েদের নতুন কিছু ভাবার কথাও বলেছেন।
অপি করিম তাঁর ২০ মাস বয়সী সন্তান রশ্মি রুয়াইদা করিমকে ঢাকার আজাদ স্কেটিং ক্লাবে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন। স্কেটিং করার আগমুহূর্তে কয়েকটি স্থিরচিত্র নিজের ফেসবুকেও পোস্ট করেছেন। সেই স্থিরচিত্রে দেখা গেছে রশ্মির বাবা স্থপতি ও পরিচালক এনামুল করিমকে। স্কেটিং শেখার এ মুহূর্তকে অপি করিম এভাবেই বর্ণনা করেছেন, ‘কন্যা আমার নিজের চাকায় দাঁড়ানো শিখে নিচ্ছে! ধন্যবাদ আজাদ ভাই।’
অপি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের সন্তানেরা মুঠোফোনের দিকে ঝুঁকছে বেশি। কিছু করার নেই, আমাদের জীবনযাপন এ জিনিস ছাড়া সম্ভব না। কিন্তু সন্তানদের একটু বৈচিত্র্য দেবার চেষ্টা করা যেতেই পারে। সুযোগ থাকলে স্কেটিং শেখাতে পারেন।’
অপি করিম এ-ও বলেন, ‘আমাদের যেসব শিশুর জন্য একটু বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়, তাদের বাবা-মা স্কেটিংয়ের বিষয়টা নিয়ে ভাবতে পারেন কিন্তু। আমি এ বিষয়ে অজ্ঞ, জানার আগ্রহ থাকলে আজাদ স্কেটিং ক্লাবে যোগাযোগ করতে পারেন।’
২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বরে কন্যাসন্তানের মা–বাবা হন টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অপি করিম ও পরিচালক এনামুল করিম। এনামুল করিম ও অপি করিম ছয় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। উল্লেখ্য, তাঁরা দুজনই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৪ সালে ‘ব্যাচেলর’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য অপি আর এনামুল করিম পরিচালিত ‘আহা’ ছবি শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ চারটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। দুজন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারও পেয়েছেন।