এবার বন্যাদুর্গত এলাকায় অনেক বেশি মানুষ এগিয়ে এসেছেন: ফারিণ
শনিবার বেলা তিনটা। উত্তরা থেকে রওনা হয়েছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। উদ্দেশ্য কারওয়ান বাজার। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল পরিচালকের একটি দল। গত বৃহস্পতিবার থেকেই বন্যার্ত মানুষের জন্য কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করছিলেন ফারিণ। জানতে পারেন, পরিচালক দলটি শনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে ত্রাণসামগ্রী কিনতে আসবে।
ফারিণ উত্তরা থেকে সরাসরি কারওয়ান বাজার এসে নির্মাতা সকাল আহমেদ, ইমেল হক, তুহিন হোসেন, রাফাত রিংকু, রাসেল আহমেদ, মোহন আহমেদ, বিশ্বজিৎ দত্তদের সঙ্গে যোগ দেন। সবাই মিলে বন্যার্তদের জন্য খাবার, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করেন।
কথা হলো ফারিণের সঙ্গে। বললেন, ‘আমি সরাসরি যেতে পারছি না। না যেতে পারলেও যাতে তাঁদের পাশে থাকতে পারি, এ জন্য ছুটে এসেছি। বন্যার্তদের জন্য কিছু একটা করতে চাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন, খবরের কাগজ পড়ে মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়ে, বয়স্কদের কী অবস্থা সেখানে!’ তরুণ এই অভিনেত্রী মনে করেন, এই দুর্যোগে দল–মতনির্বিশেষে সবাইকে ওই সব অঞ্চলের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
ফারিণ বলেন, ‘খেয়াল করে দেখলাম, এবার বন্যাদুর্গত এলাকায় অনেক বেশি মানুষ এগিয়ে এসেছেন। ছবি, ভিডিওতে তাঁদের স্বেচ্ছাসেবীদের দেখে মনটা ভরে যাচ্ছে।’
কেনাকাটা শেষ করে যাওয়ার সময় ফারিণ বলছিলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’—গানের এই কথাগুলো যেন এই বন্যায় অসহায় মানুষগুলো ঘিরে মিলেমিশে এক হয়ে গেছে।’
পরিচালক রিংকু জানালেন, তাঁদের কেনা ত্রাণসামগ্রীর একটি অংশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের মাধ্যমে বিতরণ করবেন।
আরেকটি অংশ পিকআপ ভ্যানে আজ (শনিবার) রাত দুইটার দিকে ফেনীর দাগনভূঞার দিকে রওনা হবে। পরিচালক ইমেল হক বলেন, ‘ত্রাণ আমরা হাতে হাতে বিতরণ করব না। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে গিয়ে বস্তা বস্তা ধরে দিয়ে আসব। কারণ আশ্রয়কেন্দ্রে অনেক মানুষ।’