ক্যামেরার সামনে বলতে হবে জান–কলিজা, বাসায় গিয়েই তোলপাড়...
কেন গায়ক এস আই টুটুলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে, সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গ সামনে এনেছেন অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ। তিনি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে দুই তারকার বোঝাপড়া না হওয়া থেকেই এই বিচ্ছেদ। সেই ভিডিওতে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঘটনা ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগির পাশাপাশি মিডিয়ার তারকা দম্পতিদের নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি জানান, মিডিয়ার অনেকের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কেই জানেন। যাঁরা বাইরে একরকম ও ভেতরে ভেতরে অন্য রকম। তবে কোন তারকা ও তারকা দম্পতির কথা বলেছেন, সেটা অবশ্য তিনি উল্লেখ করেননি।
দুজনের পক্ষ থেকে কোনো সম্পর্ক না টিকলে সেটা টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। বাধ্য হয়ে এমন সম্পর্কে থাকতে চাননি এই অভিনেত্রী।
ভিডিও বার্তায় তানিয়া বলেন, ‘আমি মিডিয়ার অনেকের পার্সোনাল লাইফ সম্পর্কে জানি। তারা একসঙ্গে হাসছে, খেলছে, ঘুরছে–ফিরছে কিন্তু তাদের ভেতর যে কতটা তোলপাড়, সেটা কেউ জানে না। তাদের জন্য অনেকেই দোয়া করছে, বলছে সুখী পরিবার, কিন্তু ভেতরের খবর কেউ জানে না। এটা দর্শকদের জন্য বলছি। আমার জায়গা আমি স্ট্রংলি বলেছি।’
অনেকের পার্সোনাল লাইফ সম্পর্কে জানি। তারা একসঙ্গে হাসছে, খেলছে, ঘুরছে–ফিরছে কিন্তু তাদের ভেতর যে কতটা তোলপাড়, সেটা কেউ জানে না। তাদের জন্য অনেকেই দোয়া করছে, বলছে সুখী পরিবার, কিন্তু ভেতরের খবর কেউ জানে না
ভিডিওতে তানিয়া আরও বলেন, ‘সব মেনে একসঙ্গে থাকতে হলে মিথ্যা বলতে হবে। মানুষের সামনে, ক্যামেরার সামনে মিথ্যা বলতে হবে। ক্যামেরার সামনে বলতে হবে জান–কলিজা। একসঙ্গে সেলফি দিচ্ছি। আবার বাসায় গিয়েই তোলপাড়, পরবর্তী সময়ে ঝগড়ায় মত্ত হচ্ছে। দুজনের ভেতর মনের কোনো মিল নেই। এটার চেয়ে আমার কাছে মনে হয় সত্য বলাই দরকার। দিন শেষে হিসাব দিতেই হবে।’
সব মেনে একসঙ্গে থাকতে হলে মিথ্যা বলতে হবে। মানুষের সামনে, ক্যামেরার সামনে মিথ্যা বলতে হবে। ক্যামেরার সামনে বলতে হবে জান–কলিজা। একসঙ্গে সেলফি দিচ্ছি। আবার বাসায় গিয়েই তোলপাড়, পরবর্তী সময়ে ঝগড়ায় মত্ত হচ্ছে। দুজনের ভেতর মনের কোনো মিল নেই
তারকা বদলে যায়। তখন সম্পর্কগুলো রং হারায়। এর কারণ তারকা বনে যাওয়া। নিজের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এমন কথা বলেছেন তানিয়া।
তিনি বলেন, ‘যখন কেউ তারকা হয়ে যায়, তখন সে বুঝতে পারে না তার বদলটা কীভাবে হয়ে যায়। আমি মানুষজনের সামনে গিয়ে হাসাহাসি করতে পারবই। কারণ, আমি অভিনেত্রী। কিন্তু যেখানে মমতা নেই, মায়া নেই। মায়াটা কেন ছুটে গেছে, এটা বলতে পারি না। অনেক আবেগ নিয়ে আমরা অনেক কিছুটি বলতে পারি, আবেগ নিয়ে যখন কাজ করি, তখন মনে হয় এটা না হলে বাঁচব না। কিস্তু বাস্তবতা ভিন্ন।’
২০২১ সালে তানিয়া ও টুটুলের বিচ্ছেদ হয়। জানা গিয়েছিল, বিচ্ছেদের আট মাস পর টুটুল শারমিনকে বিয়ে করেন। সেই সময় টুটুল গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘তানিয়ার সঙ্গে আমি পাঁচ বছর সেপারেট ছিলাম। গত বছর আমাদের অফিশিয়াল ডিভোর্স হয়।’
সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল ও অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের দীর্ঘ দুই দশকের সংসার ভাঙার খবর আসে গত বছর। জানা যায়, ২০২১ সালে তানিয়া ও টুটুলের বিচ্ছেদ হয়। জানা গিয়েছিল, বিচ্ছেদের আট মাস পর টুটুল শারমিনকে বিয়ে করেন। সেই সময় টুটুল গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘তানিয়ার সঙ্গে আমি পাঁচ বছর সেপারেট ছিলাম। গত বছর আমাদের অফিশিয়াল ডিভোর্স হয়।’ বৃহস্পতিবার তানিয়ার অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য সংগীতশিল্পী এস আই টুটুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি দেশের বাইরে। জানিয়েছেন, শিগগিরই এ বিষয়ে তিনি তাঁর মন্তব্য জানাবেন।