‘জীবনের সীমানা পেরিয়ে পৌঁছে গেলি মৃত্যুর সীমানায়’
আজ মঙ্গলবার সকালেই জানা গেছে, হাসপাতালে ১৪ দিনের লড়াই শেষে চলে গেছেন অভিনেত্রী রিশতা লাবণী সীমানা। মাত্র ৩৯ বছর বয়সেই অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল তাঁর সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্ত-অনুরাগীরা। অভিনেত্রীর ‘সাকিন সারিসুরি’ নাটকের সহকর্মী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে সীমানার সাদা-কালো ছবি দিয়ে অভিনেত্রীকে নিয়ে লিখেছেন চঞ্চল। তিনি লিখেছেন, ‘সীমানা… জীবনের সীমানা পেরিয়ে পৌঁছে গেলি মৃত্যুর সীমানায়…! অনন্তলোকে তুই চির শান্তিতে থাকিস। তোর জন্য রইল গভীর শোক। “সাকিন সারিসুরি”,কলেজ টুডেন…কত কত স্মৃতি!’
চঞ্চল চৌধুরীর এই পোস্টে মন্তব্য করছেন অনেক দর্শক। একজন লিখেছেন, ‘“সাকিন সারিসুরি” নাটকের কাকলি...ভালো থাকবেন পারপারে। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘“সাকিন সারিসুরি” ছাড়াও তাঁর অনেক নাটক দেখেছি। ভালো অভিনয় করতেন। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
সীমানার পরিবার জানিয়েছে, গত ২১ মে রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সীমানা। সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে দ্রুত ধানমন্ডির বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে জানতে পারেন, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরদিন আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সীমানাকে ধানমন্ডির আরেকটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে ঢাকার আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গত কয়েক দিন সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২৫ মে এই হাসপাতালে তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। গত বুধবার বিকেল থেকে সীমানার চিকিৎসা চলছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সীমানার শারীরিক অবস্থা প্রতিনিয়ত অবনতি হয়েছে। শুরুর দিকে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হলেও বুধবার থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সীমানা চলে যান না-ফেরার দেশে।
সীমানা ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেন। ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হন তিনি। পরে নাটকেও অভিনয় শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ ২০১৬ সাল থেকে অভিনয়ে বিরতি। পরে জানা যায়, মা হওয়ার জন্যই এই বিরতি।
গত বছর আবার নাটকে অভিনয় শুরু করেন। সীমানার দুই সন্তান। বড় সন্তান শ্রেষ্ঠর বয়স আট, আর ছোট সন্তান স্বর্গ তিন বছর বয়সী।