নতুন আলোচনায় জোভান
বছরের শুরুতেই প্রচারিত হওয়া ‘বউয়ের বাড়ি’, ‘সুঁই’, ‘বৃষ্টিতে দেখা’ কাজগুলো দিয়ে প্রশংসা পেয়েছেন অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান। এরপর হঠাৎ বিয়ে করে আলোচনায় এসেছেন। এখন কাজে কিছুটা বিরতি দিয়ে পরিবারকে সময় দিচ্ছেন। আপাতত নতুন কাজ না করলেও ভালোবাসা দিবসের একাধিক কাজ দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন জোভান।
অভিনীত কাজ নিয়ে সব সময় জোভানের অন্য রকম একটা আগ্রহ থাকে। এর কারণ, কাজটি নিয়ে দর্শকেরা কে কী বলছেন, সেটা তিনি সব সময়ই জানতে চান। এটাকে এই অভিনেতা মনে করেন আশীর্বাদ। কিন্তু গত বছর ঈদের পর দর্শকের সঙ্গে এই যোগাযোগ কিছুটা কমে যায়। কারণ, এ সময় তাঁর অভিনীত খুব বেশি নাটক মুক্তি পায়নি। কাজও করেছেন কম। কিন্তু নতুন বছরে ভক্তদের আশীর্বাদ দিয়ে শুরু থেকে দিনগুলো ভালো কাটছে। জোভান বলেন, ‘এবার বছর শুরুর দিকে যেসব কাজ মুক্তি পেয়েছে, সেগুলো নিয়ে ভক্তরা অনেক প্রশংসা করছেন। এর ভেতর তিন–চার মাস দর্শক নতুন কাজ পাননি। একবারে অনেকগুলো নাটক পেয়ে দর্শকেরা খুশি। ভক্তদের ভালোবাসা নিয়মিত ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করে।’
কাজ কম কেন
প্রায় তিন বছর ধরে কাজের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন জোভান। কারণ, নিজের মতো করে নিজের পছন্দের গল্পগুলোয় অভিনয় করতে চান তিনি। পাশাপাশি নাটকের মানও ধরে রাখতে চান।
এ ছাড়া অভিনয়ে বৈচিত্র্য আনতেও কাজের সংখ্যা কমিয়েছেন। জোভান মনে করেন, দর্শকের রুচি তৈরি করতে হলে ভালো কাজের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ভালো কাজ খুব বেশি সংখ্যায় তখনই করা যাবে, যখন কম কাজ হবে। চরিত্রগুলোয় সময় দেওয়া যাবে। অনেক সময় বাড়তি চাপের কারণে চরিত্র হয়ে ওঠা সম্ভব হয় না। তিনি বলেন, ‘তিন বছর ধরে আমার উপলব্ধি হলো, যত কম কাজ করব, তত গল্প, চরিত্র নিয়ে বেশি চিন্তা করতে পারব। ভালো কাজ দিয়েই দর্শকের রুচি তৈরি হবে। অভিনেতা হিসেবে এর বিকল্প কিছু নেই।’
যে প্রশ্নে ক্লান্ত
নাটকের জুটি হয়ে কাজ করাকে প্রশংসা করেন এই অভিনেতা। এই প্রসঙ্গ নিয়েই জোভানকে নাকি সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে এ প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমি ক্লান্ত। রোজকার প্রশ্ন হয়ে গেছে। জুটিকে কোনোভাবেই খারাপভাবে দেখি না। দুজন মানুষ যখন একসঙ্গে পর্দায় বেশি কাজ করেন, তখন তাঁরা বোঝেন যে অন্য চরিত্রগুলোয় কতটা ভিন্নভাবে কাজ করা যায়। পর্দায় ও পর্দার বাইরে বোঝাপড়া ভালো থাকে। আর দুজন মানুষ ১০টা কাজ করলে ৫টা ভালো হবেই।’
যাঁর সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো
অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে জোভানকে। বছরের শুরুর কাজটাও হয়েছে একসঙ্গে। ভালোবাসা দিবসে একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছে হৃদয়ের টান, এর আগে আগন্তুক, চেয়েছি তোমার হতেসহ বেশ কিছু কাজ তাঁরা একসঙ্গে করেছেন। জোভান বলেন, ‘এখন কেয়া পায়েলের সঙ্গে সবচেয়ে ভালো বোঝাপড়া। পায়েলকে প্রথম থেকেই জুটি হিসেবে পেয়েছি। সে কারণে ওর কাজের প্রতি আত্মনিবেদন, উন্নয়ন অনেক বেশি। এগুলো আমার নিজের চোখে দেখা। ওর উত্থানের সাক্ষী আমি। যেটা পর্দায় দর্শক এখন পাচ্ছেন আমাদের।’
স্ত্রী
গত মাসে হঠাৎ করেই বিয়ে করেছেন এই তারকা। বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ। এর মধ্যে শেষ করেছেন হানিমুনও। কিন্তু কীভাবে তাঁদের পরিচয়, কীভাবে প্রেম—এসব নিয়ে মুখ খোলেননি এই অভিনেতা। অবশেষে জানালেন সেই অজানা কথা। ২০২১ সালে একটি খুদে বার্তা থেকে পরিচয়। জোভান জানান, ইনস্টাগ্রামের টেক্সট থেকেই কথা বলা শুরু। বলা যায়, উত্তর দেওয়া থেকেই পরিচয়।
সময়টা ২০২১ সাল। পরে গত বছর তাঁদের দেখা হয়। তখন তাঁরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। জোভান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো। আমার কাজ নিয়ে এখনো সমালোচনা করেনি। হয়তো সামনে করবে। তবে টুকটাক একটা কণ্ঠ খারাপ হলে সেটা নিয়ে বলেছে, আরও ভালো হতে পারত। আমি চাই কাজ ভালো না হলে সে বলুক। আমার ভালোর জন্যই স্ত্রীর সমালোচনা করা উচিত। কারণ, গঠনমূলক সমালোচনা করলেই কিন্তু দর্শক আমার কাজ নিয়ে কথা বলবেন। আগ্রহী হবেন। স্ত্রীর সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবেই নেব। আমি যেন দর্শকের ভালোবাসা পাই, সঙ্গী হিসেবে সেটা সে চাইবে আশা করি।’