বিটিভির হীরকজয়ন্তীতে নানা আয়োজন

৬০ বছর পূর্তিতে তৈরি হয়েছে থিম সংবাংলাদেশ টেলিভিশন

দেশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) হীরকজয়ন্তী (৬০ বছর পূর্তি) ২৫ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে বিটিভি পরিবারের সদস্যরা বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিনটি উদ্‌যাপন করবেন। ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টায় কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু আনুষ্ঠানিকতা। এ ছাড়া দিনব্যাপী বিটিভির পর্দায় থাকছে নানান পরিবেশনা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ৬০ বছর পূর্তিতে তৈরি হয়েছে থিম সং। মিল্টন খন্দকারের সংগীতায়োজনে গানটি গাইছেন আলম আরা মিনু, রিজিয়া পারভীন, রোমানা ইসলাম, হাসান চৌধুরী, বশিরুজ্জামান সাব্বির, মুহিন ও স্বরলিপি। এ ছাড়া সরাসরি প্রচারিত সংগীতানুষ্ঠানে গাইবেন খুরশীদ আলম, রিজিয়া পারভীন, ফেরদৌস আরা, বুলবুল ইসলাম, অপু আমান, স্বরলিপি, রাজীব, শাহনাজ বেলী, গামছা পলাশ, আয়েশা জেবিন দীপা ও মনির বাউলা। থাকছে মুনমুন আহমেদের পরিচালনায় বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান। নৃত্য পরিবেশন করবেন মুনমুন, তামান্না, নিসা, উপমাসহ আরও অনেকে। এ ছাড়া প্রচারিত হবে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, তারকাদের শুভেচ্ছা বাণী, প্রামাণ্য অনুষ্ঠান ‘ডিআইটি থেকে রামপুরা’ ও নাটক ‘সোনার সিন্দুক’।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পী, কলাকুশলী, বিজ্ঞাপনদাতা ও দর্শকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিটিভির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবার প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পার করছে। এটা আমাদের হীরকজয়ন্তী। বাংলাদেশ টেলিভিশন সম্পর্কে দুটি বিষয় আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে। একটা বিষয় হলো এটি একটি জাতীয় টেলিভিশন। আরেকটি বিষয়, এই জাতীয় টেলিভিশনের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের কল্যাণমূলক অনুষ্ঠান নির্মাণ। আন্তর্জাতিক পরিভাষায় বলা যায় পাবলিক সার্ভিস ব্রডকাস্টিং।

এখানে তথ্য থাকে, সংবাদ থাকে, থাকে নির্মল বিনোদন। বিনোদন কিন্তু জনপ্রিয়তার জন্য ক্রমেই দর্শকরুচির স্রোতে ভাসবে না; সেই বিনোদন বাংলাদেশের দর্শককে আরও রুচিশীল করে তুলবে, সেদিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনকে সতর্ক ও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশনকে যদি আমরা বলি ঘরের খাবার, তাহলে অনেক বিনোদনমূলক চ্যানেলকে আমরা বলব ফাস্ট ফুড। বাংলাদেশ টেলিভিশন গঠনমূলক জনকল্যাণকর ও নির্মল রুচিসম্পন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণে কখনো আপস করবে না।’

১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন ডিআইটি ভবনের নিচতলায় টেলিভিশন চ্যানেলটির যাত্রা শুরু। এরপর সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশের জন্মের পরের বছর যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ টেলিভিশন। ১৯৭৫ সালে ডিআইটি ভবন থেকে বিটিভিকে রামপুরায় নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৮০ সালে দর্শকদের রঙিন পর্দা উপহার দেওয়ার মাধ্যমে নতুন যুগে পদার্পণ করে বিটিভি। চ্যানেলটির সম্প্রচার এখন এইচডি (হাই ডিফিনেশন) এবং টেরিস্ট্রিয়াল, স্যাটেলাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে গেছে।