গাজায় হামলায় কাঁদছে তাঁদের মন...
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জোরেশোরে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। গতকাল থেকে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকারও এ বিষয়ে প্রতিবাদমুখর। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা এমন মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানান।
গাজায় নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে শাকিব খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গাজা শুধু একটি ভৌগোলিক নাম নয়, এটি যেন আজ নির্যাতিত মানুষের প্রতীক! দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছু করতে না পারা! তাদের পাশে আছি—ভালোবাসা, সংহতি, আর শান্তির প্রত্যাশায়।’
গাজার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের আসিফ আকবর তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিদায় রাফা-গাজার জান্নাতি শহীদেরা। শ্রেষ্ঠ ধর্মের অনুসারী আর তাদের নিকৃষ্ট শাসকরা আনন্দে থাকুক জ্বলন্ত জমিনের দোজখে।’
জয়া আহসান লিখেছেন, ‘দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি সেনারা ১৫ জন জরুরি চিকিৎসাকর্মীকে হত্যা করেছে। গাজায় যে নিষ্ঠুর আর হৃদয়হীন গণহত্যা ইসরায়েল চালিয়ে আসছে, এটা তারই অংশ। পৃথিবীকে তারা ফিলিস্তিনিশূন্য করার নিয়ত নিয়ে নেমেছে।’
আক্ষেপ ও অসহায়ত্বের কথা উল্লেখ করে আরিফিন শুভ লিখেছেন, ‘গাজার আকাশে যে ধোঁয়া আর অশ্রুর বৃষ্টি, সেই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে আমরা শুধু প্রার্থনা করতে পারি, কাঁদতে পারি আর চিৎকার করতে পারি। এই মানুষগুলোর অপরাধ কি শুধু এই যে তারা নিজেদের মাটিতে বাঁচতে চায়?’
তমা মির্জা তাঁর ফেসবুকে গাজায় ইসরায়েলি হামলার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এটা গোটা মুসলিম দেশের মুসলমানদের শাহাদতের চিত্র!’ গাজা নিয়ে লিখেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানও।
সিয়াম আহমেদ তাঁর ফ্রি প্যালেস্টাইন স্যুটের একটি ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আমি যখন এই পোস্ট লিখছি, ততক্ষণে গাজার অস্তিত্ব কী মুছে গেছে? আমরা কি পারলাম না এই শহরটা, এই দেশটাকে বাঁচাতে? ফিলিস্তিনের এই ধ্বংসাবশেষের দায় কি আমরা কেউ এড়াতে পারব? ফিলিস্তিনের জন্য আমার মনের কান্না কখনো থামাতে পারিনি। যখন “জংলি”র গল্প লেখা হচ্ছিল তখনো পাখির জায়গায় আমি বারবার ফিলিস্তিনি শিশুদেরই কল্পনা করতাম। আমরা কি শিশুদের জন্য একটা সুন্দর পৃথিবী উপহার দিয়ে যেতে পারব না? যখন যুদ্ধবিরতি চলছিল তখনো আমি শান্তি পাচ্ছিলাম না। শুধু মনে হতো, এই বিরতি কতক্ষণের? কতক্ষণ এই মানুষগুলো বাঁচবে আসলে?’
রোববার নিজের ফেসবুকে সাদিয়া লিখেছেন, ‘গাজায় যেভাবে প্রতিদিন নিরীহ মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা নৃশংসভাবে প্রাণ হারাচ্ছে, তা মানবতা এবং মুসলিমদের জন্য এক কলঙ্ক। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে হাজারো স্বপ্ন, কান্না আর আর্তনাদ। এই নিষ্ঠুরতা যেন কোনো সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। হে আল্লাহ তায়ালা, তুমি গাজার মানুষদের হেফাজত করো। তুমি তাদের ধৈর্য দান করো, শত্রুদের অন্তরে শান্তি ও মানবতা দান করো এবং সব নির্যাতনের অবসান ঘটাও।’