আপনাকে চোর বলা হচ্ছে লজ্জা করে না? ঋতুপর্ণাকে শ্রীলেখার ভর্ৎসনা
একটা সময় ছিল যখন টালিউডের সিনেমা মানেই ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বর্তমানেও একই ক্রেজ ধরে রেখেছেন অভিনেত্রী। তবে রেশন–দুর্নীতির মামলায় ইডির জেরার মুখে পড়ে বর্তমানে খারাপ সময় চলছে নায়িকার।
এ ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করলেও ৭০ লাখ রুপি ফেরত দিতে চেয়েছেন অভিনেত্রী। ইডির বরাত দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। গত জুন মাসে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে যান ঋতুপর্ণা। পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেরার পর ঋতুপর্ণা বলেন, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। তবে তাঁর কাছে যা নথি চাওয়া হয়েছিল, সেগুলো তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। এরপরই নাকি ৭০ লাখ রুপি ফেরত দিতে চেয়ে ইডি বরাবর আবেদন করেছেন ঋতুপর্ণা।
ঋতুপর্ণার এ ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন আরেক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, চুরি না করলে টাকা ফেরত দিতে চাইছেন কেন? ৭০ লাখ টাকা তো আর মুখের কথা নয়। সাধারণ মানুষের চুরি করা টাকা। কেউ নিজের গাঁট থেকে এমনি এমনি এতগুলো টাকা দেয় না। ক্যামেরার সামনে হাত নেড়ে কী প্রমাণ করতে চাইছেন? আপনি অস্কার পাচ্ছেন না, আপনাকে চোর বলা হচ্ছে। লজ্জাও করে না?
অভিনেত্রী শ্রীলেখা আরও লিখেছেন, ‘তারপরও মিডিয়া তাঁদের নাম্বার ওয়ান শিরোপা দেবে। আমার ভিডিওর কিছু অংশ নিয়ে মিডিয়ার এক অংশ এবং ইন্ডাস্ট্রির এক অংশ তাঁদের হয়েই কথা বলবে। দুর্নীতির আর সীমা–পরিসীমা নেই। ধিক্কার জানাই।’
এর আগে ২০১৯ সালেও রোজভ্যালি–কাণ্ডেও ঋতুপর্ণা এবং অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত অযোগ্য ছবিতে দেখা গেছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। এটি তাঁর ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জুটির ৫০তম ছবি।