২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘কলকাতার অন্ধকার গলি থেকে উঠে এসেছি’ বললেন মিঠুন

মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি ভাস্কর মুখার্জি

‘সত্যি বলতে, আমি ভাষাহীন। আমি হাসতে পারছি না, খুশিতে আবার কাঁদতেও পারছি না। আমার জন্য অনেক বড় বিষয় এটা। কলকাতার এক অন্ধকার গলি থেকে আমি উঠে এসেছি। ফুটপাত থেকে লড়াই করে আজ আমি এখানে পৌঁছেছি। আজ সেই ছেলেটা এত বড় সম্মান পাচ্ছে। সত্যি আমি কল্পনাও করতে পারিনি। আমি বাকরুদ্ধ। আমি এই পুরস্কার দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা আমার সব ভক্ত আর আমার পরিবারকে উৎসর্গ করছি’—দাদাসাহেব পুরস্কারের খবরে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী আবেগঘন কণ্ঠে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ কথাগুলো বলেছিলেন।

আজ সকালে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিঠুন চক্রবর্তীর দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের খবরটি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে মিঠুনের অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে এই বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে। মিঠুনের দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার খবরে তাঁর ভক্ত থেকে শুরু করে সিনেমা জগতের সবাই দারুণ খুশি। এই অভিনেতাকে সবাই শুভকামনা জানাচ্ছেন।

মিঠুন চক্রবর্তী
ফাইল ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে মিঠুনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘ভারতীয় ছায়াছবির জগতে অসামান্য অবদানের জন্য মিঠুন চক্রবর্তীকে স্বীকৃতিস্বরূপ মর্যাদাপূর্ণ দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত আনন্দের। উনি একজন সাংস্কৃতিক আইকন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ওনার বহুমুখী অভিনয় ক্ষমতা প্রশংসিত হয়ে এসেছে। ওনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।’

আজ সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্সে বলেছেন, ‘মিঠুনদার অসাধারণ সিনেম্যাটিক ভ্রমণ প্রতিটি প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে এসেছে।’ ৮ অক্টোবর ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের অনুষ্ঠানে মিঠুন চক্রবর্তীর হাতে দাদাসাহেব পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হবে। মিঠুন চক্রবর্তীর ঝুলিতে আছে ৩৫০টির বেশি ছবি। হিন্দি, বাংলা, তামিল, তেলেগু, পাঞ্জাবি, কন্নড়, ওড়িয়া, ভোজপুরী ছবিতেও কাজ করেছেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গে জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী।
ফাইল ছবি: এএনআই