রোমান্টিক যীশুর ভিন্ন রূপ
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে টানা বাণিজ্যিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সাফল্য পাননি। তবে আবহমান দিয়ে অভিনেতাকে ‘নতুন জীবন’ দিয়েছিলেন প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। সেই যীশু সেন এখন পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে দক্ষিণ ভারত ও বলিউডে নিয়মিত সিনেমা, সিরিজ করছেন। একই সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে তাঁর বাংলা ও তেলেগু সিনেমা। একসময় রোমান্টিক নায়ক বলে পরিচিত যীশুকে দুই ছবিতেই দেখা গেছে খলনায়কের চরিত্রে।
সৃজিত মুখার্জির ‘দশম অবতার’ সিনেমায় এক ক্রমিক খুনির চরিত্রে দেখা গেছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার। একই দিনে মুক্তি পেয়েছে ভামসি পরিচালিত তেলেগু পিরিয়ড অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা ‘টাইগার নাগেশ্বর রাও’। এ ছবিতে প্রধান খলনায়ক তিনি। যেখানে যীশু এক অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে রোমান্টিক চরিত্রে বেশি দেখা গেছে যীশুকে। ‘পাশের বাড়ির ছেলে’ টাইপ কোনো চরিত্র হলেই ডাক পড়ত তাঁর। সেই জায়গা থেকে পুরোপুরি খল চরিত্রে অভিনয় যীশুর জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?
এ প্রসঙ্গে ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপিকে অভিনেতা বলেন, ‘চরিত্র ইতিবাচক, নাকি নেতিবাচক, তার চেয়েও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ অভিনয়। কোনো চরিত্র ভালো লাগলে তবেই সিনেমাটা করতে রাজি হই। তারপর চরিত্রটিতে প্রাণ ঢেলে দিয়ে অভিনয় করি। কোনো দিন ভাবিনি যে নায়ক হতে হবে বা ভিলেন হতে হবে। একটা করে চিত্রনাট্য পড়ি আর সে অনুযায়ী কাজ করি।’
এই প্রথম নয়, আগে বেশ কয়েকটি দক্ষিণি সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। তাহলে পরপর একই ধরনের কাজ হয়ে যাচ্ছে না?
এ প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকাকে যীশু বলেন, ‘পরপর ছবিগুলো এভাবে মুক্তি পাচ্ছে বলে এ কথা মনে হতে পারে। আমি কিন্তু আগেও একটা সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। ছবিটা এখনো মুক্তি পায়নি। তবে সচেতনভাবে শুধুই ভিলেনের চরিত্র করব বলে কখনো ছবি বাছাই করি না।’ যীশু এখন দক্ষিণি সিনেমায় নিয়মিত মুখ। ভাষা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়নি?
এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘শুরুতে একটু ভয়ে ছিলাম। পরে চিরঞ্জীবী স্যার আমাকে শেখান, কী করে ভাষা না জানলেও সংলাপ বলতে হয়। সিনেমার কোনো ভাষা হয় না, আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।’
সামনে যীশুকে দেখা যাবে আরও বেশ কয়েকটি বাংলা, হিন্দি ও তেলেগু সিনেমায়।