ফিল্মফেয়ারে নজর কাড়লেন জয়া, পুরস্কার পেলেন যাঁরা
নাচেগানে মুখর ছিল এই অনুষ্ঠান। তৃতীয়বারের মতো এবারের আয়োজনে নজর কেড়েছেন জয়া আহসান। তিনি ‘ঝরা পালক’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী সমালোচক বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতায় বসে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসের জমকালো আসর। জাঁকজমক আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলা ২০২২’ প্রদান করা হয়েছে। নাচেগানে মুখর ছিল এই অনুষ্ঠান। তৃতীয়বারের মতো এবারের আয়োজনে নজর কেড়েছেন জয়া আহসান। তিনি ‘ঝরা পালক’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী সমালোচক বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত পুরস্কার পাননি। তিনি গত তিনটি আসরেই সেরা অভিনেত্রী হিসেবে এই পদক জয় করেছেন।
জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হয় বিজয়ীদের। এবারের আয়োজনে যৌথভাবে সমালোচকদের বিচারে সেরা ছবি হয়েছে ‘আ হোলি কন্সপিরেসি’ ও ‘অভিযান’। শৈবাল মিত্র পরিচালিত ‘আ হোলি কন্সপিরেসি’তে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তিন গুণী অভিনয়শিল্পীকে। একদিকে কলকাতার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অন্যদিকে নাসিরউদ্দিন শাহ। আবার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছে বাংলাদেশের পার্থপ্রতিম মজুমদারকে। অন্যদিকে কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিক নিয়ে ‘অভিযান’। বায়োপিক নির্মাণ করেছেন পরিচালক ও অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। বায়োপিকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের যুবক বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যিশু সেনগুপ্ত।জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হয় বিজয়ীদের। এবারের আয়োজনে যৌথভাবে সমালোচকদের বিচারে সেরা ছবি হয়েছে ‘আ হোলি কন্সপিরেসি’ ও ‘অভিযান’।
শৈবাল মিত্র পরিচালিত ‘আ হোলি কন্সপিরেসি’তে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তিন গুণী অভিনয়শিল্পীকে। একদিকে কলকাতার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অন্যদিকে নাসিরউদ্দিন শাহ। আবার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছে বাংলাদেশের পার্থপ্রতিম মজুমদারকে। অন্যদিকে কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিক নিয়ে ‘অভিযান’। বায়োপিক নির্মাণ করেছেন পরিচালক ও অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। বায়োপিকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের যুবক বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যিশু সেনগুপ্ত।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা
সেরা ছবি: দোস্তজি, বল্লভপুরের রূপকথা
সেরা পরিচালক: প্রসূন চট্টোপাধ্যায় (দোস্তজী)
সেরা অভিনেতা: মিঠুন চক্রবর্তী (প্রজাপতি)
সমালোচকদের বিচারে সেরা অভিনেতা: যিশু সেনগুপ্ত (অভিযান)
সেরা অভিনেত্রী: স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (শ্রীমতী)
সমালোচকদের বিচারে সেরা অভিনেত্রী: শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (বৌদি ক্যান্টিন) ও গার্গী রায়চৌধুরী (মহানন্দা)
সেরা সহ-অভিনেতা: শ্যামল চক্রবর্তী (বল্লভপুরের রূপকথা)
সেরা সহ-অভিনেত্রী: মমতা শংকর (প্রজাপতি)
সেরা নবাগত অভিনেতা: অনিন্দ্য সেনগুপ্ত (এক্স = প্রেম)
সেরা নবাগত অভিনেত্রী: শ্রুতি দাস (এক্স = প্রেম)
সেরা নবাগত পরিচালক: ঈশান ঘোষ (ঝিল্লি) ও কুমার চৌধুরী (প্রিয় চিনার পাতা: আইটিআই সেগুন)
সেরা সাউন্ড ডিজাইন: তীর্থংকর মজুমদার (অপরাজিত)
সেরা সম্পাদক: অর্ঘ্য কমল মিত্র (অপরাজিত)
সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন: সুব্রত বারিক (বল্লভপুরের রূপকথা)
সেরা আবহ সংগীত: বিক্রম ঘোষ (মহানন্দা)
সেরা সিনেমাটোগ্রাফি: ইশান ঘোষ (ঝিল্লি) ও তুহিন বিশ্বাস (দোস্তজী)
সেরা পোশাক ডিজাইন: শুচিস্মিতা দাসগুপ্ত (অপরাজিত)
সেরা মৌলিক গল্প: কুমার চৌধুরী (প্রিয় চিনার পাতা: আইটিআই সেগুন)
সেরা চিত্রনাট্য: প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (দোস্তজী)
সেরা সংলাপ: প্রতীক দত্ত এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য (বল্লভপুরের রূপকথা)
সেরা গায়ক: অরিজিৎ সিং- আজকে রাতে (বিসমিল্লাহ)
সেরা গায়িকা: কৌশিকী চক্রবর্তী- কেন রং দিলে মোহে (বিসমিল্লাহ)
সেরা গীতিকার: অনির্বাণ ভট্টাচার্য (নতুন প্রেমের গান, বল্লভপুরের রূপকথা)
সেরা মিউজিক অ্যালবাম: ইন্দ্রদীপ দাস গুপ্ত (বিসমিল্লাহ)
লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড: অপর্ণা সেন (অভিনেত্রী ও পরিচালক)
সূত্র: এই সময়