২৭ বছরের ‘সম্পর্ক’ ভাঙার খবর দিলেন মীর
স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শো মীরাক্কেল সঞ্চালনার কল্যাণে মীর আফসার আলী পশ্চিমবঙ্গের মতো বাংলাদেশেও জনপ্রিয়। টানা কয়েক বছর তিনি মীরাক্কেল সঞ্চালনা করেছেন। তবে টিভির আগে মীর পরিচিতি পান রেডিও জকি হিসেবে। টানা ২৭ বছর আরজে হিসেবে কাজ করেছেন কলকাতা থেকে প্রচারিত এফএম চ্যানেল রেডিও মির্চিতে। মীর আর মির্চি যেন হয়ে উঠেছিল সমার্থক। তবে দীর্ঘদিনের এই সম্পর্ক শেষ হয়েছে। রেডিও মির্চি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন মীর।
আজ শুক্রবার এক ফেসুবক পোস্টে ঘোষণা দিয়ে লিখেছেন, ‘আমাকে শোনার জন্য সবাইকে ভালোবাসা। তবে মির্চি ছেড়েছি। রেডিও নয়। কষ্ট হচ্ছে...একটু...ওই ৯৮.৩% এর মতন।’ পোস্টের সঙ্গে আকাশবাণী রেডিওতে প্রথম দিন কাজ করার একটি ছবিও দিয়েছেন মীর।
নিজের পোস্টে হ্যাশট্যাগ শুধু ‘সকালম্যান’-এর নাম নিয়েছেন মীর! ‘সানডে সাসপেন্স’-এর নাম নেননি। যা দেখে অনেক ভক্ত আশঙ্কা করছেন, হয়তো এই শো আর করবেন না মীর। জল্পনা উসকে দিয়েছে মীরের আরেকটি লাইন—‘গল্পের পরবর্তী অংশ বিরতির পর।’ অনেকে মনে করেছেন নতুন কোনো রেডিও স্টেশনে হয়তো শোনা যাবে মীরের কণ্ঠ।
বছরের পর বছর কলকাতা শহরের শ্রোতাদের কাছে মীর ‘সকালম্যান’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কারণ, এই দীর্ঘ সময় ধরে সকালে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন। ১৯৯৪ সালের ৬ আগস্ট থেকে শুরু। এর পর থেকে মীরের ‘সুপ্রভাত’ শুনে ঘুম ভাঙত কলকাতাবাসীর।
মীরের এই পোস্টের পর থেকে অনুরাগীরা তাঁকে একাধিক প্রশ্ন করেছেন। কেউ জানতে চেয়েছেন, তাঁর গলায় ‘সানডে সাসপেন্স’ কি আর শোনা যাবে না? কেউ লিখেছেন, ‘মীর ছাড়া মির্চি... ভাবাই যায় না।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘তুমি ছেড়ে দিলে। আমরা জানতেও পারলাম না যে শেষ শোটা বিশেষভাবে শুনব। রেডিওতে থাকছ, এটা ভালো। কিন্তু মির্চি-মীর যেভাবে একাকার হয়ে গিয়েছিল ২০ বছর ধরে, সেই রেশ কাটানো খুবই মুশকিল হবে। যেখানেই রেডিওতে যাও, রেডিওতে থেকো। আমরা শোনার জন্য সব সময় রেডি-ও।’
যদিও মীর এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দেননি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে রেডিওর পর ডিডি বাংলা চ্যানেলের নিউজ প্রোগ্রাম ‘খাস খবর’-এর মাধ্যমে প্রথম টেলিভিশনের দর্শক দেখতে পান মীরকে। তারপর ‘হাউ মাউ খাউ’, ‘বেটা বেটির ব্যাটল’, ‘মীরাক্কেল’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি করেন সংগীতচর্চা। তাঁর নিজস্ব একটা গানের দলও আছে। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরে ইউটিউবে শুরু করেছেন ফুড ভ্লগিং। ‘ফুডকা’ নামে তাঁর শোর জন্য চলতি বছর ঘুরে গেছেন বাংলাদেশ থেকেও।