বুবলীর পর রেহনুমা: সংবাদ পাঠক থেকে চলচ্চিত্রে
ঢালিউডের এই সময়ের আলোচিত নায়িকা শবনম বুবলী একসময় সংবাদ পাঠিকা ছিলেন। একই টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনে এখন সংবাদ পাঠিকা হিসেবে আছেন রেহনুমা মোস্তফা। ঢালিউডে এবার অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে এই সংবাদ পাঠিকার। ‘লকডাউন লাভস্টোরি’ নামের একটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রেহনুমাকে বড় পর্দায় হাজির করতে যাচ্ছেন পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল। আগামী ৮ মার্চ ওটিটি এবং প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন পরিচালক।
‘লকডাউন লাভস্টোরি’ চলচ্চিত্রটি মুক্তির আগে গত শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে ছিল উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সেখানে আসা অতিথিরা ছবিটি দেখে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। রেহনুমা মোস্তফা এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক মামনুন ইমনের বিপরীতে। প্রথম ছবি মুক্তির খবরে ভীষণ রকম উচ্ছ্বসিত ঢালিউডের নবাগত এই নায়িকা।
৯ বছর ধরে সংবাদ পাঠিকা হিসেবে দেশের কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ করছেন রেহনুমা। পাশাপাশি কয়েকটি টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছেন। সংবাদপাঠের পাশাপাশি এখন অভিনয়টাকেও বেশ ভালোবেসে ফেলেছেন বলে জানালেন তিনি। তাই তো ছোট পর্দা থেকে তাঁর লক্ষ্য এখন বড় পর্দায়। প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা তাঁকে আরও বেশি উৎসাহী করেছে চলচ্চিত্রে অভিনয়ে। প্রথম চলচ্চিত্রের গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘করোনাকালে মানুষের জীবন ও চারপাশের পরিবেশকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। আমি সেই বিশেষ চলচ্চিত্রের অংশ হতে পেরেছি, এটা নিঃসন্দেহে ভালো লাগার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ এবং এমফিল ডিগ্রি শেষ করে এখন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর গবেষণা করছেন বলে জানালেন রেহনুমা। বিনোদন অঙ্গনে কাজ করার লক্ষ্যে একটা সময় শাস্ত্রীয় নৃত্যের ওপর ডিপ্লোমা করেছেন তিনি। আইনজীবী বাবা নুরুল মোস্তফার মেয়ে রেহনুমার পরিবারে এর আগে কেউ বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেনি। দাদার বাড়ি ফেনী হলেও রেহনুমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকার পান্থপথে। তিনি বলেন, ‘অভিনয় অঙ্গনে কাজ করতে খুবই আনন্দ পাচ্ছি। ইচ্ছা আছে, ভালো ভালো গল্পে নিজেকে উপস্থাপন করা।’
‘লকডাউন লাভস্টোরি’ চলচ্চিত্রে রেহনুমাকে নায়িকা নির্বাচিত করা প্রসঙ্গে পরিচালক শাহ আলম বলেন, ‘আমি এই চলচ্চিত্রের জন্য একেবারে নতুন একজনকে খুঁজছিলাম। খুঁজতে খুঁজতে একদিন রেহনুমাকে পাই। আমার চরিত্রটির সার্থক রূপায়ণ করেছেন তিনি।’
পরিচালক তাঁর ছবিটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘সময়োপযোগী একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের চেষ্টা করেছি। করোনা মহামারির এই সময়ে আমাদের যাপিত জীবনে লকডাউনের যে প্রভাব, তার একটা চিত্র ফুটে উঠবে এই চলচ্চিত্রে। করোনার ঘরবন্দী সময়ে ভালোবাসা কেমন ছিল, সে গল্পও উঠে আসবে। প্রিমিয়ারে আমন্ত্রিত অতিথিরা ছবিটি দেখে তাঁদের ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন। সবার এই ভালো লাগা আমাকে সাহস দিয়েছে, অনুপ্রাণিত করেছে।’