মৌলিক গান তৈরিতে সময়, তাগিদ দুটিই কম ছিল
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে ‘নিশিতে যাইও ফুলে বনে’ গানের কাভার ভার্সন। এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা ও ইমরান মাহমুদুল। প্রায় দুই বছর পর ফোক গান কাভার করলেন কনা। পাশাপাশি সিনেমার গান নিয়ে ছিলেন আলোচনায়। ব্যক্তিগত জীবন ও কাজ নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন এই সংগীতশিল্পী।
‘নিশিতে যাইও ফুল বনে’ গানটি কাভার করার পরিকল্পনা হলো কীভাবে?
কিছুদিন আগে আমি আর ইমরান একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। ওই অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী জুয়েল মোর্শেদের সঙ্গে দেখা হয়। এই গানের কাভার করার মূল সমন্বয়ক তিনি। ওই দিন আমাদের দুজনকে গানটি কাভার করার জন্য বলেন। জুয়েল ভাইয়ের সঙ্গে আগেই কাজের অভিজ্ঞতা আছে আমাদের। এভাবেই কাজটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি।
গানটি কেমন লাগবে দর্শকের কাছে?
গানটি রেকর্ড হওয়ার পর কয়েকবার শুনেছি। খারাপ হয়নি। শ্রোতাদের কাছে মন্দ লাগবে না। মূল সুর ঠিক রেখে নাভেদ পারভেজ সুন্দর মিউজিক করেছেন। যেখানে যা দরকার, ঠিক সেটাই রাখা হয়েছে গানটিতে। এ কারণে গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সাহস পেয়েছি। কারণ, কাভার গান করতে আমার ভীতি আছে।
ভয় কেন?
সাধারণত জনপ্রিয় গানগুলোই কাভার করা হয়। এসব গান মূল শিল্পীর কণ্ঠে আগেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শ্রোতাদের মাথায় মূল শিল্পীর গায়কিই গেঁথে থাকে। পরবর্তীকালে নতুন করে কাভার করা হলে শ্রোতাদের কাছে তা পছন্দ না-ও হতে পারে। এ জন্য ভয় লাগে। তবে ফোক গানের চেয়ে সিনেমা বা আধুনিক গানগুলো কাভার করতে বেশি ভয় লাগে। কারণ, ফোক ঘরানার অনেক গানই বহু বছর ধরে অনেক শিল্পী কাভার করে আসছেন। সুতরাং শ্রোতাদের কাছে একই গান একাধিক শিল্পীর কণ্ঠে শোনার অভ্যাস আছে।
কত দিন পর গান কাভার করলেন?
প্রায় দুই বছর পর ফোক গান কাভার করলাম। এর আগে ‘সখী পিয়া’ শিরোনামে একটি অসমিয়া ফোক গান কাভার করেছিলাম।
‘তুই কি আমার হবি রে’ সিনেমার গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। কী কারণে এটি এত জনপ্রিয় হলো?
গানের শিরোনামটাই ক্যাচি। এখানে প্রেমের কথাগুলো সহজভাবে বলা হয়েছে। শুনতে আরাম লাগে। এ কারণে তরুণেরা বেশি পছন্দ করেছেন। মিউজিকটাও দারুণ হয়েছে। তা ছাড়া ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমায় সিয়াম ও পরীমনি গানটির সঙ্গে পারফর্ম করেছেন। তাঁদেরও প্রচুর ফ্যান-ফলোয়ার আছে।
সিনেমার গানে আপনি একটি জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু ‘ধিন তা না তানা না না’, ‘রেশমি চুড়ি’, ‘ও ডিজে’, ‘ইচ্ছেগুলো’ গানগুলোর পর অনেক দিন আপনার কোনো মৌলিক গান সেভাবে আলোচনায় আসেনি...
সত্য কথা বলতে কী, সময়ের অভাবে অনেক দিন নতুন কোনো মৌলিক গানের পরিকল্পনা করা হয়নি। আমার গাওয়া সিনেমার গান যখন একের পর এক আলোচনায় আসতে লাগল, তখন সিনেমার গানেই আগ্রহ বেশি ছিল। তা ছাড়া প্রচুর স্টেজ শো করেছি। ফলে মৌলিক গান তৈরিতে সময়, তাগিদ দুটিই কম ছিল। তবে এরই মধ্যে দুটি মৌলিক গান তৈরি করেছি। ভিডিও করারও প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ বছরই আমার নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত হবে।
স্টেজ শোর খরা কি কাটল?
না, এখনো সেভাবে কাটেনি। তবে টুকটাক স্টেজ শো করছি। করোনাকালে সাত আট মাস একটি শোও ছিল না। মাস দুয়েক হলো কিছু শো হচ্ছে। অনুমতিও সেভাবে দেওয়া হচ্ছে না এখনো। তারপরও ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি শো করেছি। ২৪ জানুয়ারি ঢাকাতে শো আছে।