নীনা হামিদকে নিয়ে মৃত্যুর গুজব, যা জানালেন শিল্পীর ছেলে

শিল্পী নীনা হামিদকোলাজ

বাংলাদেশি লোকগানের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী নীনা হামিদ এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সঙ্গে সেখানে থাকেন তিনি। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় হঠাৎ তাঁর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের তিনজন সুপরিচিত সংগীতশিল্পীও নীনা হামিদ মারা গেছেন, ফেসবুকে এমন পোস্ট দেন। এরপর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ করা হয়। নীনা হামিদের পরিবারের বরাত দিয়ে সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী প্রথম আলোকে রাত আটটায় জানান, বরেণ্য এই শিল্পীর ছেলে সুমন মাহমুদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, নীনা হামিদ সুস্থ আছেন।

সম্প্রতি নীনা হামিদকে (মাইক্রোফোন হাতে) নিউইয়র্কে লোকগানের একটি উৎসবের উদ্বোধক হিসেবে দেখা গেছে
ছবি : আয়োজকদের সৌজন্যে

প্রথম আলোকে সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘হঠাৎ করে নীনা হামিদ চাচির মৃত্যুর গুজব শুনি। এরপর তাঁর ছেলের সঙ্গে কথা বলি। বাবলা (সুমন মাহমুদ) ভাই আমাকে জানিয়েছেন, চাচি ভালো আছেন। কেউ যেন কোনো গুজব না ছড়ায়। সবাই চাচি ও তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’

বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে নয়টায় প্রথম আলোর সঙ্গে কথা হয় শিল্পীর ছেলে সুমন মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আম্মা ভালো আছেন। আমিও দেখলাম, কে যেন ফেসবুকে আম্মার মৃত্যুর খবর নিয়ে পোস্ট দিয়েছে। এটা পুরোপুরি গুজব।’

নীনা হামিদ বাংলাদেশের প্রখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী। ‘আমার সোনার ময়না পাখি’, ‘যে জন প্রেমের ভাব জানে না’ গানের জন্য তিনি শ্রোতাদের কাছে সুপরিচিত। লোকসংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ১৯৯৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে। সম্প্রতি এই শিল্পীকে নিউইয়র্কে লোকগানের একটি উৎসবের উদ্বোধক হিসেবে দেখা গেছে। তারও আগে চ্যানেল আই বরেণ্য এই সংগীতশিল্পীকে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত করে।

নীনা হামিদ সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর স্বামীর নাম এম এ আহাদ। এই সংগীতশিল্পীর বাবা আবু মোহাম্মদ আবদুল্লাহ খান ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। ভাইবোনদের মধ্যে নীনা ছিলেন সবার ছোট। তাঁর বড় ভাই মোজাম্মেল হোসেন এবং বড় দুই বোন রাহিজা খানম ঝুনু ও রাশিদা চৌধুরী রুনু। নীনাদের পৈতৃক বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার নওদা গ্রামে।