নিশিথে যাইয়ো ফুল বনে...
২৪ টি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আয়োজিত হলো সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র ছায়ানটের বার্ষিক লোকসংগীত অনুষ্ঠান। এবারের আয়োজনে শেখ ভানু শাহ্, হাসন রাজা, আরকুম শাহ্, ভবা পাগলা, দুর্বিন শাহ এবং আনিসুল হক চৌধুরী এই ছয়জন গীতিকবির গান পরিবেশিত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লালমাটিয়ায় ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজিত হয় লোকসংগীতের অনুষ্ঠান। ছয় গীতিকবির ছয়টি গান গাওয়া হয় সম্মেলকভাবে। এর মধ্যে আছে শেখ ভানু শাহ্র লেখা বিখ্যাত গান ‘নিশিথে যাইয়ো ফুল বনে’, হাসন রাজার গান ‘ছাড়িলাম হাসনের নাও রে’, আরকুম শাহ্র গান ‘পাঁচ ওয়াক্তের নমাজ পড়ে’, ভবা পাগলার গান ‘বারে বারে আর আসা হবে না’, দুরবিন শাহর গান ‘কাইন্দো না রাই কমলিনী’ এবং আনিসুল হক চৌধুরীর গান ‘জামরঙা শাড়ি পরেছে’ পরিবেশিত হয় সম্মিলিত কণ্ঠে।
এ ছাড়া ‘সোনা বন্দে আমারে দিওয়ানা বানাইছে’, ‘নদী ভরা ঢেউ’, ‘নষ্ট করলায় নতুন ফুলের মতো’ জনপ্রিয় ১৭টি লোকসংগীত পরিবেশনা হয় এককভাবে। অনুষ্ঠান শেষ হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। একক গানের শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন নারায়ণ চন্দ্র শীল, চন্দনা মজুমদার, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, সঞ্চিতা বর্মণসহ অন্য শিল্পীরা।
ছায়ানট আয়োজিত এবারের লোকসংগীত উৎসর্গ করা হয়েছে গীতিকবি শেখ ভানু শাহ্কে। বাংলাদেশের একজন মরমি সাধক ও বাউল গানের কবি শেখ বানু শাহ্। তাঁর লেখা গানের সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি।
১৯৩৩ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সম্মেলনে সাহিত্যিক ও মনীষী কাজী আবদুল ওদুদ বাংলার চারজনকে দার্শনিক হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করা সেই চারজনের মধ্যে হাসন রাজা, লালন শাহ, শেখ মদনের সঙ্গে ছিল শেখ ভানু শাহ্ নাম।
ভানু শাহর অন্যতম বিখ্যাত গান ‘নিশীথে যাইও ফুল বনেরে ভ্রমরা, নিশীথে যাইও ফুল বনে’ গানটি গেয়েছিলেন শচীন দেববর্মন।