শহর যেন এসে থেমে গেল ‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এ

গতকাল সোমবার ছিল মহান বিজয় দিবস। রাজধানীজুড়ে উৎসবের আবহ। বিজয় দিবসের আনন্দ যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ কনসার্ট। রাজধানী ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এ কনসার্টের আয়োজন করে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন। বিএনপির উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতায় সম্প্রতি এ সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছে। স্মরণকালের মধ্যে অন্যতম বড় এই কনসার্টের পুরোটা সময় গানের তালে তালে বিজয়ের উৎসবে মাতেন হাজারো দর্শক-শ্রোতা। ছবিতে দেখে নেওয়া যাক তারই একঝলক—

১ / ১৪
মহান বিজয় দিবস সঙ্গে শীত শীত আবহাওয়ায় কনসার্ট; রাজধানীবাসীর ভিড় তাই ছিল মানিক মিয়া অ্যাভিনিউমুখী। মেট্রোরেল, বাস, রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি বা পা পায়ে হেঁটে এদিন কনসার্ট দেখতে হাজির হয়েছিলেন দর্শকেরা। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তাকালেই চোখে পড়ছিল মানুষের ভিড়, পুরো শহর যেন এসে থেমে গেছে এখানে
ইউটিউব থেকে
আরও পড়ুন
২ / ১৪
এই কনসার্টের বড় বৈশিষ্ট্য ছিল সব ধরনের শিল্পীর উপস্থিতি। সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশিদ আলম, কনকচাঁপা, বেবী নাজনীন, মনির খান যেমন ছিলেন, তেমনই ছিলেন এই সময়ের আলোচিত শিল্পী কনা, ইমরান, প্রীতম হাসান ও জেফার। আবার ছিল নগরবাউল, ডিফারেন্ট টাচ, আর্ক, সোলস, শিরোনামহীন, আর্টসেল, অ্যাভয়েড রাফা ও সোনার বাংলা সার্কাসের মতো তুমুল জনপ্রিয় ব্যান্ড
ফেসবুক থেকে
৩ / ১৪
জাতীয় সংসদ ভবনের উল্টো দিকে সড়কে মঞ্চ করা হয়েছিল। কনসার্টের জন্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের এক পাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। বড় কনসার্টের কারণে আশপাশের এলাকায় যানজট ছিল, তবে সব উপেক্ষা করে এদিন যেন মানুষের ঢল নেমেছিল কনসার্ট দেখতে। সাজিদ হোসেন
৪ / ১৪
কনসার্টের শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরাচারী কার্যক্রম নিয়ে লেখা প্রতিবাদী গান পরিবেশন করা হয়। এসব গান পরিবেশন করেন শিল্পী ইথুন বাবু ও মৌসুমী চৌধুরী। বেলা সোয়া দুইটার দিকে মঞ্চে ওঠেন প্রীতম হাসান। তিনি ‘খোকা’, ‘হাতে লাগে ব্যথারে’, ‘লাগে উরাধুরা’র মতো শ্রোতাপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করেন
ইউটিউব থেকে
৫ / ১৪
বিকেল সাড়ে চারটার পরপরই মঞ্চে ওঠেন শিল্পী ইমরান মাহমুদুল ও কনা। ইমরান পরিবেশন করেন ‘বলতে চেয়ে মনে হয়’ ও ‘দিয়েছি তোকে দিল দিল দিল’। আর কনা পরিবেশন করেন ‘ও হে শ্যাম’ ও ‘দুষ্টু কোকিল’। সাজিদ হোসেন
৬ / ১৪
বিকেল সোয়া পাঁচটার পর মঞ্চে ওঠেন আসিফ আকবর। ‘স্বাধীন দেশে উড়বেই স্বাধীন পতাকা’, ‘ও প্রিয়া ও প্রিয়া’ গান দুটি পরিবেশন করেন। শেষ করেন ‘বেশ বেশ বেশ...শাবাশ বাংলাদেশ’ গানটি গেয়ে। সাজিদ হোসেন
৭ / ১৪
পরে গান পরিবেশন করেন বেবী নাজনীন। তিনি ‘আমাদের বাংলাদেশ’ শিরোনামে নতুন একটি গান পরিবেশন করেন। এরপর গেয়ে শোনান ‘সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি’ ও ‘বন্ধু তুমি কই কই রে’। সাজিদ হোসেন
৮ / ১৪
নব্বইয়ের আলোচিত ব্যান্ড আর্ক। মাঝে কিছুটা দৃশ্যপটের আড়ালে চলে গেলেও সম্প্রতি আবার কনসার্টে দাপট দেখাচ্ছে তারা। এদিনও হাসান বুঝিয়ে দেন কনসার্ট মাতিয়ে তুলতে কতটা পারঙ্গম তিনি। সাজিদ হোসেন
৯ / ১৪
রাফসান শাবাব ও শান্তা জাহানের সঞ্চালনায় সন্ধ্যার দিকে ব্যান্ডগুলোর পরিবেশনা শুরু হয়। প্রথমে মঞ্চে ওঠে ডিফারেন্ট টাচ ব্যান্ড। তারা পরিবেশন করে নিজেদের জনপ্রিয় গান ‘শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে’। পরে মঞ্চে দেখা যায় এই সময়ের জনপ্রিয় শিল্পী জেফার রহমানকে। সাজিদ হোসেন
১০ / ১৪
গাইছেন মেজবাহ রহমান। সাজিদ হোসেন
১১ / ১৪
১১. মঞ্চে এদিন পাওয়া যায় আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলসকে। গাইছেন দলটির কর্ণধার পার্থ বড়ুয়া। সাজিদ হোসেন
১২ / ১৪
দর্শকের অপেক্ষা ছিল জেমসের। কনসার্টে জেমসের পারফরম্যান্স মানেই ভিন্ন কিছু। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মঞ্চে হাজির হন জেমস। বুঝিয়ে দেন কেন তিনি সবার চেয়ে আলাদা। সাজিদ হোসেন
১৩ / ১৪
টানা প্রায় দুই ঘণ্টা চলে জেমসের পারফরম্যান্স। রাত ১১টার কিছুটা আগে তাঁর গান দিয়েই শেষ হয় এই আয়োজন। সাজিদ হোসেন
১৪ / ১৪
এই কনসার্ট যেন শহরে তৈরি করেছিল উৎসবের নতুন উপলক্ষ। শহরের মধ্য ভাগে খোলা রাস্তায় আয়োজিত এই কনসার্ট এক করেছিল সব বয়সের মানুষকে। শহরের নানা প্রান্তের মানুষ এসেছিলেন কনসার্ট দেখতে। মধ্যরাতের আগে কনসার্ট যখন শেষ হয়, তখন রাস্তায় খুব বেশি গণপরিবহন নেই। কনসার্ট ফিরতি মানুষের অবশ্য সেসব নিয়ে চিন্তা নেই। দল বেঁধে তাঁদের অনেকেই হাঁটতে হাঁটতেই বাড়ির পথ ধরেছেন। কেউ গুনগুন করছেন প্রিয় শিল্পীর গানগুলো। সাজিদ হোসেন