এ আর রাহমানের স্টুডিওতে আসিফ, রেকর্ডিং শেষে যা বললেন
কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর নতুন গান রেকর্ডিং করতে ভারতের মুম্বাইয়ে যাবেন খবরটি পুরোনো। আজ সোমবার জানা গেল, তিনি ইতিমধ্যে গানের রেকর্ডিং শুরু করেছেন। আসিফ মুম্বাইয়ে গিয়ে গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন এ আর রাহমানের স্টুডিওতে। সংগীতের এমন একজন কিংবদন্তির স্টুডিওতে গানে কণ্ঠ দিয়ে দারুণ অনুভূতি হয়েছে আসিফ আকবরের, যা তাঁর ফেসবুক পেজে প্রকাশও করেছেন।
এর আগে আসিফ আকবর দেশের শিল্পীদের পাশাপাশি ভারতীয় বেশ কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গেও গান গেয়েছেন। এবার তাঁর গাওয়ার কথা ভারতের আরেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের সঙ্গে।
এ আর রাহমানের মুম্বাইয়ের কে এম স্টুডিওতে গান রেকর্ডিং শেষে আসিফ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মুম্বাই এসেছি কিছু রেকর্ডিংয়ের কাজে। গতকাল দুটো গানের ভয়েস দিলাম শ্রদ্ধেয় এ আর রাহমান স্যারের কে এম স্টুডিওতে। কমপক্ষে ১৫ হাজার স্কয়ার ফিটের সুবিশাল স্টুডিও। ভেতরে ঢুকেই মনটা ভালো হয়ে গেল, কী চমৎকার পরিবেশ! যাঁরা উনার কাছে মিউজিক ক্লাস করেন, তাঁদের জন্য ছাদে শেড দেওয়া সুন্দর খোলামেলা স্কুল। তাঁর ব্যক্তিগত স্টুডিওতে গাওয়ার অনুমতি পেয়েছি, এটা পরম সৌভাগ্য আমার জন্য। ভয়েস রুমের টেম্পারেচার কেমন হওয়া উচিত সেটার অভিজ্ঞতাও পেলাম।’
মুম্বাইয়ে গান রেকর্ডিং করতে গিয়ে আসিফের নতুন উপলব্ধিও হয়েছে। তিনি তা ফেসবুকে লিখেছেনও। আসিফ লিখেছেন, এখানে শিল্পী–মিউজিশিয়ানদের পেশাগত নিরাপত্তার চমৎকার সুরক্ষাব্যূহ তৈরি করে রাখা হয়েছে। আমাদের দেশ এসবের ধারেকাছেও নেই।’
আসিফ আরও লিখেছেন, ‘সমিতি আর নির্বাচনী কাবাডি খেলা নিয়ে ব্যস্ত সবাই। আস্তে আস্তে ক্ষয়ে গেছে সব প্রতিষ্ঠান। আমারও খুব একটা কিছু করার সক্ষমতা নেই। বিভক্তি বিভাজনের করাল গ্রাসে কোমায় চলে গেছে ইন্ডাস্ট্রি। সংগীতকে ভালোবেসে ফেলেছি, তাই টিকে থাকার সংগ্রামে আছি। বয়সও বেড়েছে, হইচই করতে আর ভালো লাগে না। শৌখিন এবং মৌসুমি প্রযোজকদের সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি, মান নিয়ন্ত্রণ করতেই হচ্ছে।’
আসিফের ভাষ্য, একসময়ের পেশাদার সব রেকর্ডিং স্টুডিও বাংলাদেশে এখন বন্ধ। যদিও নতুন রেকর্ডিং স্টুডিও তৈরি হয়েছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে কিছুই না। বেশির ভাগ স্টুডিও এখন ঘরকেন্দ্রিক, তা–ই উঠে এসেছে আসিফের কথায়। তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে পেশাদার রেকর্ডিং স্টুডিওগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে তৈরি হয়েছে সুউচ্চ বিল্ডিং। বাসাবাড়িতে কিংবা ছোট খুপরির মতো সব স্টুডিও বানিয়ে মাটি কামড়ে মিউজিক করছে মিউজিশিয়ানরা। যেখানে ইন্ডাস্ট্রি আরও বিশাল হওয়ার কথা, সেখানে সংকুচিত হয়ে এসেছে আমাদের পৃথিবী।’