অবশেষে মুক্ত
১৩ বছরের বন্দিদশা থেকে অবশেষে মুক্তি পেলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। মার্কিন এই পপ তারকার ওপর থেকে তাঁর বাবা জেমস স্পিয়ার্সের আইনি অভিভাবকত্ব তুলে নিলেন আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি আদালত গতকাল শুক্রবার এই আইনি অভিভাবকত্ব বাতিল করেন।
দিনটিকে জীবনের ‘সেরা দিন’ বলে অভিহিত করেছেন ব্রিটনি। এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘মনে হয় আমি কেঁদে ফেলব।’ অন্যদিকে আদালতের এই সিদ্ধান্তকে প্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর বাবা জেমি। তাঁর মতে, তাঁর নিজের জীবনের দায়িত্ব আবার নিজে গ্রহণ করার এটাই সময়।
ব্রিটনির বয়স তখন ২৬ বছর। ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও ক্যারিয়ারের ঝামেলায় প্রায়ই বিষণ্নতায় ভুগতেন তিনি। একপর্যায়ে অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখনই এই আইনি অভিভাবকত্বের প্রসঙ্গ ওঠে। তখন তাঁর বাবা জেমি স্পিয়ার্সকে আইনি অভিভাবকত্ব দেওয়া হয়। সেই সূত্রে ২০০৮ সাল থেকে জেমি তাঁর মেয়ের অর্থ–সম্পদ নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। কিন্তু এই অভিভাবকত্ব ব্রিটনির কাছে ক্রমেই শৃঙ্খল হয়ে ওঠে। এটা তাঁর পেশা ও ব্যক্তিগত জীবনের ওপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলে।
অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি, বাবার বিরুদ্ধে অর্থ অপব্যহারের অভিযোগ এনে এই অভিভাবকত্ব থেকে মুক্তি চান। মুক্তি না দিলে গান ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
গতকাল লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টের বিচারক ব্রেন্ডা পেনি পপ তারকার পক্ষে এই রায় দেন। এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো পক্ষই এর বিরোধিতা করেনি।