‘বুক পকেটের গল্প’–এ আপনাকে দেখে চারপাশের মানুষ কী বলছেন?
সেই দিন আমি একটি সিনেমার শুটিংয়ে ছিলাম। একের পর এক ফোন রিসিভ করেছি। অনেকে বলেছেন, কাজটা ভালো হয়েছে। আমি খুব একটা নাটক করি না। ফলে বাসায়ও তেমন নাটক দেখে না। বোন ও দুলাভাই নাটকটি দেখে বলেছেন, অনেক দিন পর একটা সুন্দর নাটক দেখলেন তাঁরা। নাটকের তিনটি গল্পই দারুণ।
ওটিটিতে নিয়মিত কাজ করলেও টিভি নাটকে নিয়মিত কাজ করেন না কেন?
নাটকের চরিত্র ধারণের জন্য খুব বেশি সময় পাই না। তবে কোনো গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে অবশ্যই করি। বুক পকেটে গল্প নাটকটির গল্প ও চরিত্র আমাকে মুগ্ধ করেছে।
নীলচক্র নামের একটি সিনেমা করছেন আপনি। এতে আপনার চরিত্র কেমন?
সিনেমাটির দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। আরিফিন শুভ ভাই, আমিসহ আরও অনেকে রয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করছেন মিঠু খান ভাই। আমি এতে ২০ বছর বয়সী একজন টিকটকারের চরিত্রে অভিনয় করেছি। জীবনের বাস্তবতা নিয়ে খুব একটা ধারণা নেই। ভিউ ও লাইকের পেছনে ছুটতে গিয়ে জটিলতার মুখে পড়ে, সেই গল্প নিয়েই সিনেমা।
ভিউনির্ভর নাটকের ভিড়ে গল্পনির্ভর নাটকে কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জিং?
এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। আমি নিজে যে কাজ দেখে শান্তি পাব না, সেটা করব না। আমি যে গল্পের পেছনে ছুটি। ফলে ভিউ কম হয়। অভিনয়টা ভালোভাবে করতে চাই।
হালে ইউটিউবনির্ভর নাটকেও অনেকে ভিউয়ের পেছনে ছুটছেন। তরুণ শিল্পী হিসেবে বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
আমাদের দেশে অনেক ধরনের অডিয়েন্স আছে। শুভ ভাইয়ের দর্শক আর তাহসান ভাইয়ের দর্শক আলাদা। আমি কখনোই ভিউয়ের পেছেনে ছুটিনি। তাহলে অনেক নাটক করতে পারতাম। ভিউ আমাকে টানে না, গল্পই টানে। অনেকে এখন মুঠোফোনে নাটক শুট করে। ফানি, কমেডি থাকলে প্রচুর ভিউ হয়।
এ বছরের পরিকল্পনা কী আপনার?
একটু কালারফুল থাকতে চাই। আমি মানুষ হিসেবে খুব চঞ্চল। কাজ করব আর ঘুরে বেড়াব। এখনো ঘুরে বেড়ানোর সময় পাইনি। সময় বের করে ঘুরতে যাব।
ভ্রমণের জন্য আপনার পছন্দের জায়গা কোনটি?
থাইল্যান্ড। থাইল্যান্ডে অনেকবার গিয়েছি; বারবার যেতে চাই। আর প্যারিসেও যাওয়ার ইচ্ছা আছে।