দেশি ‘ওমর’ দেখে কী বলছেন বিদেশি সমালোচক
চলতি বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের সিনেমা ‘ওমর’। ছবিটি এবার মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে। ফলে সিনেমাটি দেখতে পারছেন দেশের বাইরের অনেক দর্শক। সিনেমাটি দেখে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কলকাতার সমালোচক সাগরনীল।
খুন হয়েছে বড় মির্জার ছেলে ছোট মির্জা। ওমর আর বদিকে লাশ লুকাতে হবে। তারা কি পারবে? এমন গল্প নিয়ে এগিয়েছে সিনেমার গল্প। এতে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, শরীফুল রাজ ও দর্শনা বণিক। সিনেমাটি দেখে মোটাদাগে এটির প্রশংসাই করেছেন সাগরনীল। গতকাল শুক্রবার তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘আর্টিস্টিক সেভেন্থথ সেন্স’-এর ‘ওমর’-এর রিভিউ প্রকাশ করেন।
এই সমালোচক বলেন, ‘ওমর’ তিনি দেখতে বসেছিলেন বড় কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই। কারণ, তাঁর কাছে সিনেমাটির ট্রেলার তেমন জমেনি। মনে হয়েছিল ট্রেলারে ছবির গল্প দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরও সিনেমাটি যা ভেবেছিলেন, তার চেয়েও ভালো লেগেছে।
এই ভারতীয় সমালোচক বলেন, ‘এই সিনেমার প্রথম ভালো দিক হলো চিত্রনাট্য। লেখক সিদ্দিক আহমেদ চিত্রনাট্য দিয়ে দর্শককে পর্দায় আটকে রাখতে পেরেছেন। গল্পটা ভালো, কিন্তু অসাধারণ নয়। কিন্তু চিত্রনাট্যের গুণে জমে গেছে।’
তিনি আরও মনে করেন, চিত্রনাট্য ছবির দুই প্রধান অভিনেতা শরীফুল রাজ ও নাসির উদ্দিন খানের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ হাজির করে। তাঁরা সেই চ্যালেঞ্জ কীভাবে পার হন, সেটাই দেখানো হয়েছে। এটাই ছবিটিকে ইন্টারেস্টিং করে তুলেছে।
‘ওমর’ অনেকটা ওয়ান লোকেশন থ্রিলার, বেশির ভাগ ঘটনাই একটা বাড়ির মধ্যে ঘটে। ফলে দর্শকের কাছে বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারত। সাগারনীল মনে করেন চিত্রনাট্যের গুণে সেটা হয়নি।
‘ওমর’-এর অভিনয়শিল্পীদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সাগরনীল। তিনি মনে করেন, এ ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রে পারফরম্যান্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো অভিনয় না হলে ছবিটা দাঁড়াত না। তাঁর ভাষ্যে, ‘অভিনয় যদি ভালো না হয়, সে ছবি কিন্তু পড়ে যায়। কিন্তু এই সিনেমায় কিন্তু অভিনয় সবচেয়ে ভালো।
শরীফুল রাজ ও নাসির উদ্দিন খান দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। এই দুই অভিনেতাকে আমি পছন্দ করি, যখন তাঁদের কাজ দেখি, এ দুজনের অভিনয় নিয়ে আলাদাভাবে কথা বলি। তাঁদের রসায়ন এত দুর্দান্ত যে পুরো ছবি এ দুজনের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।’
তবে এই সমালোচক মনে করেন ‘ওমর’-এর শেষটা অনুমানযোগ্য। সেটা ট্রেলারে সব দেখিয়ে দেওয়ার জন্যই শুধু নয়, দেখতে দেখতেই দর্শক পরিণতি বুঝে যাবেন। ছবিতে কমেডি ভালো লাগলেও আবেগের জায়গাগুলো সেভাবে দর্শককে ছুঁয়ে যায়নি বলেও মন্তব্য করেন সাগরনীল।