টুটুলের সঙ্গে বিচ্ছেদ ইস্যুর মধ্যেই নতুন সিনেমার খবর দিলেন তানিয়া
গায়ক ও সংগীত পরিচালক এস আই টুটুল এবং অভিনয়শিল্পী তানিয়া আহমেদ এখন বিচ্ছেদ ইস্যুতে বেশি চর্চিত। দুজনেই এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে টুটুল তাঁর সাবেক স্ত্রী তানিয়া আহমেদকে নিয়ে নানা বিষয়ে মুখ খোলেন। তবে এ বিষয়ে তানিয়া কিছু না বললেও বললেন ভিন্ন একটি প্রসঙ্গে। প্রথম আলোকে জানান, তিনি নতুন একটি সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন। তাঁর এই ছবির নাম ‘তাপ’। এরই মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েও গেছে।
‘তাপ’ সিনেমার পরিচালক সুমন ধর। তিনি এর আগে ওয়েব ফিল্ম বানিয়েছেন। এবারই প্রথম চলচ্চিত্র বানাতে যাচ্ছেন। বছরের শেষ দিকে চট্টগ্রামে ছবিটির শুটিং শুরু হবে। ছবিটি প্রসঙ্গে তানিয়া আহমেদ বলেন, ‘দুই দিন পরপর পরিচালকের সঙ্গে কথা হচ্ছে। সাইন করতে চেয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসায় তা আর হয়নি। সাধারণত আমাদের দেশের সিনেমায় দেখা যায়, হিরো-হিরোইননির্ভর গল্প। এটা প্যারালাল দুই নারীর গল্প। তারপর একটা রেখায় গিয়ে মিলেছে। এটা আমার কাছে সবচেয়ে অসাধারণ লেগেছে।’
এদিকে পরিচালক সুমন ধরও জানালেন, এই ছবির দুই কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রের একজন তানিয়া আহমেদ। সুমনের দেওয়া তথ্যমতে, বছরের শেষ দিকে চট্টগ্রাম থেকে সিনেমার শুটিং শুরু হবে। এই পরিচালক এর আগে চরকিতে ওয়েব ফিল্ম ‘শেষ চিঠি’ বানিয়ে প্রশংসা কুড়ান। এটি হতে যাচ্ছে তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
সিনেমায় নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে তানিয়া আহমেদ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমার এই বয়সে এসে আমি তো হিরোইন হিসেবে অভিনয় করব না। আমি এ রকম কিছু একটা করতে চাই, যেটার মাধ্যমে আমার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে পারব। আমি রায়হান খানের ছবিতেও যেটা করেছি, ওখানেও হিরো-হিরোইন আছে ঠিকই; কিন্তু অন্য যে চরিত্র আছে, একটা আমি করেছি, অন্যটা মিশা সওদাগর ভাই। আমাদের এই দুটি চরিত্র বাদ দিলে ছবির গল্পটা দাঁড়াবে না। আমি এ ধরনের কিছু একটা করতে চাই।’
‘তাপ’ সিনেমায় কথাবার্তা পাকাপাকি হওয়ার আগে ‘এক্সকিউজ মি’ নামের একটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন তানিয়া আহমেদ। সেই সিনেমায়ও একটি ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলে জানালেন তিনি। বললেন, ‘এই ছবিতে আমি যৌনপল্লির মাসি। এ ধরনের চরিত্র আমি কখনোই করিনি। এ ধরনের চরিত্র করতে পারাটা একধরনের চ্যালেঞ্জ।
ফুটিয়ে তোলা, অভিব্যক্তি, যাঁরা প্রতিটা কাজ করেছেন—ক্যামেরাম্যান থেকে শুরু করে সবাইকে দেখা যাচ্ছে, শিলা মাসির চরিত্রের গভীরে ঢুকে যাচ্ছেন। সবাই বলছে, এত ন্যাচারাল, মনে হচ্ছে আপনি চরিত্রটা কাছ থেকে দেখেছেন। আসলে বিষয়টা মোটেও এমন নয়। আমি আগেও দেখেছি, হুমায়ূন (আহমেদ) স্যারের ওখানে যখন কাজগুলো করেছি, আমার সিকোয়েন্স দেখে, সেটের সবাই জানে যে অভিনয় করেছি। কিন্তু কান্নার ওসব দৃশ্য শেষ পর্যন্ত আমাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পর্যন্ত এনে দিয়েছিল।’