তুমি কি ভূত, জিন...

‘অন্তরা’য় নওশাবা। চরকির সৌজন্যে

চরকি অরিজিনাল ‘২ষ’-এর নতুন পর্ব ‘অন্তরা’। এর ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছে সম্প্রতি। সেখানে দুটি চরিত্রকে গুরুত্বের সঙ্গে পাওয়া গেছে। তাঁদের একজন নওশাবা, তিনি অভিনয় করেছেন অন্তরা চরিত্রে। অন্যজন আফজাল হোসেন, তাঁর নাম শোনা না গেলেও তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন অনেক।

ট্রেলারের সংলাপে আফজাল হোসেনের উদ্দেশে শিশুকণ্ঠে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি কি ভূত, জিন, নাকি শয়তান?’। অন্তরা চরিত্রের সংলাপে আছে, ‘আপনাকে যেন কবে থেকে চিনি? আপনার সঙ্গে আমার কবে দেখা হয়েছিল?’ এসব কথা রহস্যের জন্ম দিয়েছে। সে কারণে দর্শকের প্রত্যাশাও রয়েছে সিরিজটি নিয়ে।

ট্রেলারের মন্তব্যের ঘরে অনেকেই জানাচ্ছেন তাঁদের মতামত। এক দর্শক লিখেছেন, ‘অন্তরার স্বামী আসলে কী? দেখতে হবে।’ আরেক দর্শক মনে করছেন, ‘অন্তরা’ পর্বটি ‘২ষ’-এর আগের দুই পর্ব ‘ওয়াক্ত’ ও ‘ভাগ্য ভালো’-কে ছাড়িয়ে যাবে। অনেকেই সিরিজের বিষয়বস্তুর প্রশংসা করেছেন এবং নতুন পর্বটি দেখার জন্য অপেক্ষার কথা জানিয়েছেন।

‘অন্তরা’র দৃশ্য। চরকির সৌজন্যে

সেই অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছে। নতুন বছরের প্রথম দিন, অর্থাৎ আজ বুধবার রাত ১২টায় চরকি প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে ‘অন্তরা’। ২০২৫-এর প্রথম কনটেন্ট হিসেবে এটি দেখতে যাচ্ছেন দর্শক। ‘২ষ’-এর মৌসুমের তৃতীয় পর্ব এটি। নির্মাতা নুহাশ আগেই জানিয়েছিলেন, অতিপ্রাকৃত বিবাহিত জীবন নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘অন্তরা’-এর গল্প।

‘পেট কাটা ষ’-এ অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী নওশাবা। সিরিজের ‘মিষ্টি কিছু’ নামের পর্বে তাঁকে দেখা যায়। অভিনেত্রী জানান, সেই পর্বের একটা ধারাবাহিকতা আছে ‘অন্তরা’ গল্পে।

‘অন্তরা’র দৃশ্য। চরকির সৌজন্যে

নতুন পর্বে তাঁর চরিত্র রহস্যময়, যা ট্রেলার দেখে অনুমান করা যায়। সেই রহস্য ভাঙতে চাননি অভিনেত্রী। বলেন, চরিত্রটা তো একটা জার্নি। এর মধ্যে নানা কিছু থাকে। ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন হয়ে যায়।

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে নওশাবা বলেন, ‘গল্পে আগুনের দৃশ্য আছে। সেটা করতে গিয়ে সত্যি সত্যি শাড়ির আঁচলে আগুন লাগাতে হয়েছিল। বিষয়টা সহজ ছিল না। আগুন নিভতে নিভতে আমার শরীরের কয়েক জায়গায় পুড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। সেটা নেভাতে গিয়ে আমার এক সহকর্মীর হাতে জখম হলো। এ রকম আরও কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো আমাদের কাজটা।’

আরও পড়ুন

এরই মধ্যে সিরিজটির দুটি পর্ব প্রকাশ পেয়ে গেছে। বাকি থাকবে ‘বেসুরা’। ‘২ষ’ হরর ঘরানার সিরিজ হলেও মূলত সাইকোলজিক্যাল হরর বলে জানান নুহাশ। এখানে তিনি চেষ্টা করেছেন সমাজ ও ব্যক্তির সেই সব বিষয়কে তুলে আনার, যা বর্তমান সময়ের দৈনন্দিন জীবনে ভয়ের সৃষ্টি করছে। নির্মাতা বলেন, ‘আমরা বলছি, ভূত-প্রেত নাকি মানুষ, কিসে বেশি ভয়? অন্ধকারের ভূতের চেয়ে সমাজের অনেক ইস্যু আমাদের মধ্যে বেশি ভয়ের সৃষ্টি করছে। “২ষ”-এ সেটাই বলার চেষ্টা করেছি।’