জয়া ম্যাম, মেহজাবীন আপু আমার অনুপ্রেরণা

তরুণ নির্মাতা জাহিদ প্রীতমের ‘ফ্রেঞ্জি’ সিরিজে নিতু চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তরুণ অভিনেত্রী সাবরিন আজাদ। সিরিজটিসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে ‘বিনোদন’।

প্রথম আলো:

‘ফ্রেঞ্জি’ সিরিজে নিতুর চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

সাবরিন আজাদ: নিতু চরিত্রটা করার খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখন পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় চরিত্র নিতু। এত উচ্চকণ্ঠ, বদমেজাজি চরিত্রে আগে কখনো অভিনয় করিনি। তবে নির্মাতা জাহিদ প্রীতম ভাইয়ার জন্য কাজটা সহজ হয়েছিল। উনি খুঁটিনাটি বিষয়গুলো ধরিয়ে দিয়েছেন; সেটা অনেক কাজে দিয়েছে।

সাবরিন আজাদ
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

নিতু চরিত্রটি চট্টগ্রামের ভাষায় কথা বলে। এ ভাষা রপ্ত করা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

সাবরিন আজাদ: আমি চট্টগ্রামের ভাষায় পারদর্শী নই, কিন্তু চরিত্রের জন্য সাবলীলভাবে বলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চট্টগ্রামের মানুষ নিজেদের ভাষা নিয়ে খুব সেনসেটিভ (সংবেদনশীল)। চাটগাঁইয়া ভাষার ভুলভাল ব্যবহার পর্দায় দেখালে, উল্টো হাসির পাত্র হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। শুটিংয়ে শিল্পনির্দেশক হিসেবে চট্টগ্রামেরই একজনকে পেয়ে যাই, চাটগাঁইয়া ভাষায় দৃশ্যগুলো আগে ওনার সঙ্গে অনুশীলন করে নিতাম।

সাবরিন আজাদ
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন; অভিনয়ে আপনার পথচলাটা কেমন ছিল?

সাবরিন আজাদ: অভিনয়ের পথচলাটা ভীষণ কঠিন ছিল। অনেক বাধাবিপত্তি পার করে এক একটা কাজ করতে হয়েছে। প্রথম দিকে ঢাকায় থাকার জায়গা ছিল না, অরিন নামের এক বান্ধবীর বাসায় থেকে কাজ করতাম। অডিশন দিতে চট্টগ্রাম থেকে এক দিনের জন্য ঢাকা আসতাম, নির্বাচিত হয়ে গেলে শুটিংয়ের আগের রাতে এসে, শুটিং শেষ করে আবার চট্টগ্রাম চলে যেতাম। এভাবে দেড় বছর কাজ করার পর অবশেষে ঢাকায় থেকে কাজ করার মতো সক্ষমতা আসে।

প্রথম আলো:

অভিনয়ে কাকে অনুপ্রেরণা মানেন?

সাবরিন আজাদ: জয়া আহসান ম্যাম, মেহজাবীন চৌধুরী আপু। ওনাদের অভিনয়জগতের দীর্ঘদিনের পথচলা, ক্যারিয়ারের গ্রাফ, অভিনেত্রী হিসেবে তাদের ব্যাক্তিত্ব দেখলে অনুপ্রাণিত বোধ করি।

সাবরিন আজাদ
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

নাটক ও সিরিজ করছেন; সিনেমা নিয়ে আপনার আলাদা কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? থাকলে সেই পরিকল্পনা কী?

সাবরিন আজাদ: সিনেমায় কাজ করতে চাই, তবে আমার মনে হয় আমার আরও অনেক শেখার বাকি আছে, বোঝার বাকি আছে। তবে করলে অবশ্যই গল্প, চরিত্রটা এমন বাছাই করব, যেটা সহজে মানুষের মনে থেকে যায়। সামনে বেশ কিছু কাজের কথা চলছে। বেছে করার চেষ্টা করছি।

সাবরিন আজাদ
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

অভিনয় নিয়ে স্বপ্ন কী?

সাবরিন আজাদ: অনেক বড় পরিসরে কাজ করতে চাই, দেশে এবং দেশের বাইরেও। অনেকে বলে, আমাকে দেখতে ইনোসেন্ট (নির্দোষ) মনে হয়, আমাকে নাকি শুধু ইনোসেন্ট চরিত্রে ভালো লাগবে। এই ভাবনাটা ভাঙতে চাই। চ্যালেঞ্জিং চরিত্র করতে চাই।

প্রথম আলো:

অভিনয়ে এলেন কীভাবে? আপনার জন্ম, বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা কোথায়?

সাবরিন আজাদ: ছোটবেলায় বড় বোনের কলেজ থিয়েটার দলের শো দেখতে গিয়েছিলাম। চোখের সামনে পরিচিত বোন, তার বন্ধুবান্ধবকে এক একটা চরিত্রে দেখে বিস্ময়ের সীমা ছিল না। তখন থেকেই অভিনয়ের প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ কাজ করত। যদিও বড় হওয়ার পর দেখলাম, ব্যাপারটা মোটেও ততটা সহজ নয়। বন্ধু আবরারের বানানো একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে প্রথমবার অভিনয় করি। তখন আমার মাত্র উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছি। আমার জন্ম ফেনীতে। বাবার চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা, তারপর চট্টগ্রামেই স্থায়ী হওয়া। চট্টগ্রামেই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক শেষ করেছি।

আরও পড়ুন