শুটিং কেটেছে আড্ডা–গল্পে
প্রায় বছর ছয়েক আগে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। তখনো তানিয়া বৃষ্টির পরিচিতি সেভাবে ছিল না। সবে ক্যারিয়ার শুরু করছেন। সেই সময়েই অভিনেতা এফ এস নাঈম ও তানিয়াকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল পরিচালক তপু খানের একটি নাটকে। সেই তানিয়া নিজেকে প্রমাণ করে এখন নিয়মিত প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন। তানিয়া ও নাঈমকে নিয়ে আলোচনার হেতু আবার দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাবে জহির খানের যে স্বপ্ন ভালোবাসি না নাটকে। এটি লিখেছেন প্রশান্ত অধিকারী।
আলাপের শুরুতেই বদলে যাওয়া তানিয়ার প্রশংসা করলেন নাঈম। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু পরিচালকের সঙ্গে নিয়মিত অভিনয় করা হয়। তাঁদের অনেকের কাছেই তানিয়ার অভিনয়ের প্রশংসা শুনেছি। পরে আমরা একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়েও সেটিই দেখতে পেলাম। সে অনেক সেনসেবল, অভিনয়ে মনোযোগী, এই সময়ের অনেকের সঙ্গে সে–ও ভালো করছে।’
তরুণদের সঙ্গে অভিনয়ের সময়ে বেশির ভাগই চিন্তিত থাকেন নাঈম। তাঁর মতে, অনেক সময় দেখা যায়, তরুণেরা তাল মিলিয়ে অভিনয় করতে পারেন না। যে কারণে ছাড় দিয়েও অভিনয় করার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেকের। তানিয়াকে নিয়ে তেমন কোনো ব্যাপার ছিল না। এই অভিনেতা জানান, তরুণদের মধ্যে দক্ষ অভিনয় শিল্পী তৈরি হতে হবে। তাহলে নাটকের ইন্ডাস্ট্রিতে পরবর্তী প্রজন্মও দক্ষ হয়ে গড়ে উঠবে। ‘মোশাররফ করিম ভাইসহ সিনিয়র অনেকের সঙ্গে নিয়মিত অভিনয় করছে তানিয়া। দর্শকও সেগুলো পছন্দ করেছেন। আমাদের নাটকের গল্পটিও দর্শকের প্রশংসা পাবে।’ বলেন নাঈম।
যে স্বপ্ন ভালোবাসি না নাটকটি নির্মিত হয়েছে স্বপ্ন ও বাস্তবতার গল্প নিয়ে। এই সময়ের বাস্তবতা উঠে এসেছে নাটকে। তানিয়ার সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে নাঈম বলেন, ‘অভিনয়ের পাশাপাশি তানিয়া অনেক মিশুক। শুটিংটা আড্ডা ও গল্পে কেটেছে। এর আগে আমার কালপুরুষ চরকিতে মুক্তি পায়। সেখানে আমার চরিত্রের প্রশংসা করল তানিয়া। চরিত্রের জন্য আমাকে ওজন বাড়াতে হয়েছিল, সেই চরিত্র ওর মনে দাগ কেটেছে। সহশিল্পীর মূল্যায়ন আমাদের কাজগুলোকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায়।’
নাঈম জানান, তাঁদের একসঙ্গে সামনে বেশ কিছু নাটকে দেখা যাবে।