নোরা ফাতেহির অনুষ্ঠান বন্ধ করার এখতিয়ার এনবিআরের নেই: তথ্যমন্ত্রী
বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফতেহির ঢাকার অনুষ্ঠানের অনুমতি তথ্য মন্ত্রণালয় দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, সেই অনুষ্ঠান বন্ধ করার এখতিয়ার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নেই।
আজ বুধবার সচিবালয়ে এ অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
আগামী শুক্রবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় নোরা ফাতেহির স্টেজ শো হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে ওই অনুষ্ঠানের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার ভ্যাট বিভাগের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অনুষ্ঠানের অনুমতি নেওয়া হয়নি। ভ্যাট কার্যালয়ে ঘোষণা দেওয়া, ব্যাংক গ্যারান্টি জমা ও অনুমতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু আয়োজক প্রতিষ্ঠান উইমেন লিডারশিপ করপোরেশন এই অনুমোদন নেয়নি। এ ছাড়া টিকিট বিক্রির ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ হয়।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আজ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘নোরা ফাতেহি একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী এবং আগামী কাতার বিশ্বকাপে ‘থিম সং’-এ পারফর্ম করবেন। এর আগে বিশ্বকাপ আসরগুলোতে যেমন শাকিরাসহ বিশ্ববরেণ্য তারকারা করেছেন। নোরা ফাতেহিকে একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডকুমেন্টারি করতে চায়। সেটির জন্য আমরা অনুমতি দিয়েছি।’
এনবিআরেরর নির্দেশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে ট্যাক্স আদায় বা ভ্যাট আদায় এগুলোর জন্য এনবিআর অবশ্যই তাদের নোটিশ দিতে পারে। কিন্তু এনবিআর অনুষ্ঠান বন্ধ করার এখতিয়ার রাখে না। এনবিআর অবশ্যই ট্যাক্স ভ্যাট আদায় করার এখতিয়ার রাখে। কিন্তু সরকার অর্থাৎ মন্ত্রণালয় যেখানে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিয়েছে, সেখানে অনুষ্ঠান বন্ধ করার এখতিয়ার এনবিআর রাখে না।
আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের পর্যটন (ট্যুরিজম অব বাংলাদেশ)’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া এবং পরিচালক মোহাম্মদ আলী মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। এ প্রসঙ্গে পর্যটন খাত বৈদেশিক মুদ্রার আহরক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পর্যটন খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে এই প্রকাশনাটি বিশেষ গুরুত্ববহ। সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার গ্রন্থটি প্রকাশের জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান এবং এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খাত চিহ্নিত করে সেসব বিষয়ে প্রকাশনা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।