ভীত ও রোমাঞ্চিত অ্যাডেলে
কালো মাস্কে মুখ লুকিয়ে পড়তে বসেছেন গ্র্যামিজয়ী ব্রিটিশ কণ্ঠশিল্পী অ্যাডেলে। সে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন তিনি। ১৫ কোটি ভক্তকে জানিয়েছেন, একটু ভয়ে আছেন। কী না কী হয়! শুরু হচ্ছে তাঁর নতুন ক্যারিয়ার।
পড়াশোনার উদ্দেশ্য—নতুন একটি কাজ। উপস্থাপনায় আসছেন অ্যাডেলে। বসে বসে পড়ছিলেন সেই অনুষ্ঠানের চিত্রনাট্য। টিভি অনুষ্ঠান ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’-এর উপস্থাপক হিসেবে দেখা যাবে এই তারকাকে। মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে অ্যাডেলের সংযুক্তি হতে যাচ্ছে ব্যতিক্রম এক ঘটনা। আর কণ্ঠশিল্পী অ্যাডেলের জীবনে এটি কেবল গুরুত্বপূর্ণই নয়, রোমাঞ্চকরও বটে। কেননা বিখ্যাত এই শোর মাধ্যমে উপস্থাপক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন এই সংগীত তারকা। মার্কিন নির্বাচনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে সংযুক্তি প্রসঙ্গে অ্যাডেলে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে আমার ক্যারিয়ারের চাকা এবার পূর্ণোদ্যমে ঘুরে উঠবে। সব সময়ই এ রকম চমকপ্রদ সময়ের অপেক্ষায় থাকতাম। মনে হতো, কখন এ রকম কাজের ডাক পাব আর ঝাঁপিয়ে পড়ব!’
মনে হচ্ছে আমার ক্যারিয়ারের চাকা এবার পূর্ণোদ্যমে ঘুরে উঠবে। সব সময়ই এ রকম চমকপ্রদ সময়ের অপেক্ষায় থাকতাম। মনে হতো, কখন এ রকম কাজের ডাক পাব আর ঝাঁপিয়ে পড়ব
২০১৫ সালের পর আর কোনো অ্যালবাম প্রকাশ করেননি অ্যাডেলে। ২০১৬ সালে সংগীতসফরে বেরিয়েছিলেন। দীর্ঘ বিরতির পর আবার তাঁকে দেখা যাবে ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’ অনুষ্ঠানে। এখানে তাঁর অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন সংগীত তারকা এইচ ই আর। এর আগে ২০০৮ সালে ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন অ্যাডেলে। সে সময় তিনি গেয়েছিলেন নিজের ‘চেজিং পেভমেন্টস’ ও ‘কোল্ড শোল্ডার’ গান দুটি।
টোয়েন্টি ফাইভ অ্যালবাম দিয়ে মার্কিন শ্রোতাদের কাছে নতুন করে জনপ্রিয়তা পান অ্যাডেলে। ওই অ্যালবামের জন্য ২০১৫ সালে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন তিনি। তাঁর গাওয়া ‘হ্যালো’ গানটি বিশেষভাবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল ইংরেজি গানের শ্রোতাদের কাছে।