ভারতীয় যে খাবারের স্বাদ আজও মনে আছে কাম্বারব্যাচের
সবার মুখে মুখে এখন কাম্বারব্যাচের নাম। হলিউড তারকা বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ অভিনীত বহুলপ্রতীক্ষিত ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস ইতিমধ্যে পর্দা কাঁপাতে শুরু করেছে। আয় করছে কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার। শুক্রবার বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। আর তিন দিনেই আয় করেছে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার।
২ মে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে ছিল ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সেখানে হাজির হয়েছিলেন এই অভিনেতা। এর আগে শার্লক-এ অভিনয় করে বিপুল পরিচিতি ও খ্যাতি পেয়েছিলেন কাম্বারব্যাচ। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশ ও ভারতের দর্শকেরাও উপভোগ করছেন তাঁর নতুন সিনেমা। এই অভিনেতারও এই অঞ্চলে সফরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন নিজের ভারত সফরের অভিজ্ঞতার কথা। এমনকি সেই দিনগুলোতে খাওয়া ভারতীয় খাবারের কথাও মনে রেখেছেন তিনি।
কাম্বারব্যাচ জানান, ১৯ বছর বয়সে ভারতে প্রায় ছয় মাস থাকতে হয়েছিল তাঁকে। তখন পশ্চিমবঙ্গের একটি তিব্বতি বৌদ্ধ আশ্রমে শিক্ষকতা করেছিলেন তিনি। সেই সুবাদে ভারতের উত্তরের বেশ কিছু জায়গা ঘুরেছেন তিনি। দক্ষিণে যাওয়া না হলেও রাজস্থানে দুর্দান্ত একটি মাস কাটিয়েছেন তিনি। ভারতে কাটানো দিনগুলোতে যে খাবার সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেছিলেন, সে প্রসঙ্গে কাম্বারব্যাচ বলেন, ‘তিব্বতি চায়ে এমন অদ্ভুত এক স্বাদ পেয়েছি যেন ওটা আমাকে কিছু বলছিল। সেই চায়ের স্বাদ অনেকটা মাখনের মতো, দুগ্ধপূর্ণ আবার নোনতা। তাদের খাবারও আমার ভালো লেগেছে। পুডিংসহ অনেক তিব্বতি খাবার খেয়েছিলাম। পছন্দের অন্য খাবারের মধ্যে রয়েছে রাইতা, লাচ্ছি। বিশেষ করে লাচ্ছি তো পুরো শীতল করে দিয়েছিল আমাকে।’
ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের ২৮তম চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন স্যাম রাইমি। কাম্বারব্যাচ ছাড়াও ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এলিজাবেথ ওলসেন, র্যাচেল ম্যাক অ্যাডামস, জোচিটল গোমেজ প্রমুখ। ২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল ডক্টর স্ট্রেঞ্জ। তারই সিকুয়েল এই ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস। চলতি বছরের শেষে ছবিটি মুক্তি পাবে নেটফ্লিক্সে।