বার্লিনালে স্পটলাইটে সারা–কামার
শুরু হতে যাচ্ছে বার্লিনের ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ড (ডব্লিউসিএফ) বিজয়ী ছবিগুলোর ধারাবাহিক অনলাইন প্রদর্শনী ‘বার্লিনালে স্পটলাইট: ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফান্ড’। প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করছে ডব্লিউসিএফ ও গ্যেটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ। গ্যেটে ইনস্টিটিউটের ফেসবুক পেজে গিয়ে পাওয়া যাবে বিনা মূল্যে চলচ্চিত্র দেখার লিংক। এ প্রদর্শনীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রযোজক সারা আফরীন ও পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মিসরীয় নির্মাতা তামের আল সাইদের ‘আখের আয়াম এল মদিনা’ (ইন দ্য লাস্ট ডেইজ অব দ্য সিটি) দিয়ে শুরু হবে প্রদর্শনী। ২০১৬ সালে ছবিটি জিতে নেয় বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ক্যালগারি চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বুয়েনস এইরেস ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অব ইনডিপেনডেন্ট সিনেমা উৎসবে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার। ছবি শেষে নির্মাতা তামেরের সঙ্গে থাকবে আড্ডা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব। এই পর্ব সঞ্চালনা করবেন নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন। এই আড্ডা প্রসঙ্গে কামার বলেন, ‘দুনিয়ার নানা দেশে সমসাময়িক আর্ট হাউস নির্মাতাদের সঙ্গে লাইভ আড্ডা দেওয়ার সুযোগ পাব শুনেই আমি এতে যুক্ত হয়েছি।’
প্রায় ২০০ সিনেমা থেকে এই প্রদর্শনীর জন্য চারটি ছবি কিউরেট করেছেন প্রযোজক সারা আফরীন। তিনি বলেন, ‘সব কটি ছবিই সহজাতভাবে মানুষ, সমাজ ও রাজনীতির কথা বলে। ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সিনেমাটিক ব্রিলিয়ান্স ও দেশে দেশে মানুষের কথা মাথায় রেখেছিলাম।’
গ্যেটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের পরিচালক ক্রিস্টেন হ্যাকেনব্রোক বলেন, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য দেশে দেশে চলচ্চিত্রকারদের মধ্যকার যোগাযোগ বাড়ানো এবং তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উৎসাহিত করা, যাতে তাঁরা প্রথাবিরুদ্ধ চলচ্চিত্র নির্মাণে সাহসী হন।
বার্লিনালে ডব্লিউসিএফের প্রধান ভিনসেনজো বানো বলেন, ‘আমরা খুব কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় আমরা ডব্লিউসিএফপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন তাঁর নির্মিতব্য ‘শিকলবাহা’ ছবির তহবিল পেয়েছিলেন ডব্লিউসিএফ থেকে। শুটিং শেষে বর্তমানে চলছে ছবির সম্পাদনার কাজ। ডব্লিউসিএফ বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা, যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ফেডারেল ফাউন্ডেশন ফর কালচার, সহযোগিতায় রয়েছে ফেডারেল ফরেন অফিস, ক্রিয়েটিভ ইউরোপ-মিডিয়া প্রোগ্রাম, এসিপি গ্রুপ অব স্টেটসের সচিবালয় এবং অন্যতম সহযোগী গ্যেটে ইনস্টিটিউট। গ্যেটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে তার বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজকের ভূমিকা পালন করছে।