ক্ষতই আত্মবিশ্বাসী করে সেলেনাকে
২০১৭ সালে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় পপশিল্পী সেলেনা গোমেজের শরীরে। এরপর থেকে সেলেনা নিজের শরীরে থাকা ক্ষতগুলো নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগতেন। চার বছর পর নিজের শরীরে স্থায়ী হওয়া সেই ক্ষতের দাগ গ্রহণ করতে শিখলেন সেলেনা গোমেজ। বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে খোলামেলা কথাও বলেছেন তিনি। কিন্তু অবশেষে এত দিন পর এসে সেই ক্ষতের দাগ থেকেই নতুন কিছু পেলেন এই সংগীতশিল্পী। শরীরের এই ক্ষতের দাগ প্রকাশ করে লিখলেন, ‘আত্মবিশ্বাসী বোধ করছি।’
তিন বছর আগে হঠাৎই জরুরি ভিত্তিতে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়েছিল সেলেনা গোমেজের। তখন বন্ধু ফ্রান্সিয়া রাইসা তাঁর কিডনি দিয়ে সেলেনাকে নতুন জীবন দেন।
তিন বছর আগে হঠাৎই জরুরি ভিত্তিতে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়েছিল সেলেনা গোমেজের। তখন বন্ধু ফ্রান্সিয়া রাইসা তাঁর কিডনি দিয়ে সেলেনাকে নতুন জীবন দেন। জীবনের সংকটাপন্ন সেই অধ্যায় থেকে ফিরে আসার পর সেলেনার অনেক সময় লেগে যায় স্বাভাবিক হতে। মানসিক চাপের কারণে এই শিল্পী লুপাস রোগেও আক্রান্ত হন। তাঁকে মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য যেতে হয় পুনর্বাসনকেন্দ্রে। লম্বা সময় সংগ্রামের পর সেরেও ওঠেন তিনি। কিন্তু নিজের শরীরে লেগে থাকা ক্ষত নিয়ে তাঁর হীনম্মন্যতা কোনোভাবেই কমছিল না।
গত শুক্রবার সেলেনা নীলরঙা এক সৈকত–পোশাক (বিকিনি) পরে ছবি দেন ইনস্টাগ্রামে। তাতে তাঁর ডান পায়ের ঊরুর ওপরের অংশে স্পষ্ট হয়ে আছে বিরাট এক ক্ষতচিহ্ন। সেই চিহ্নকে উল্লেখ করে সেলেনা লেখেন, ‘যখন কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের অপারেশনটা হলো, আমার মনে আছে, সময়টা ভীষণ কঠিন ছিল আমার জন্য। কিন্তু এখন আমি আগের অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। এখন আমি আর মোটেও দাগ নিয়ে সংকোচে ভুগি না।’
সেলেনার এই লেখার পর তাঁকে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিচ্ছেন তাঁর বন্ধু ও ভক্তরা। কারণ, মাত্র ২৮ বছর বয়সে কম তো আর চড়াই–উতরাই দেখতে হলো না।