মারা গেছেন ‘ডার্থ ভেডার’
‘স্টার ওয়ারস’ সিনেমার ভিলেন চরিত্র ডার্থ ভেডারের কণ্ঠ দিয়ে দুনিয়াজুড়ে খ্যাতি পাওয়া মার্কিন অভিনেতা জেমস আর্ল জোন্স মারা গেছেন। গতকাল সোমবার ভোরে ৯৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন গুণী এই অভিনেতা। মৃত্যুর সময় স্বজনেরা তাঁর পাশে ছিলেন। বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিনেতার এজেন্ট ব্যারি ম্যাকফারসন।
সাত দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে ‘ফিল্ড অব ড্রিমস’, ‘কামিং টু আমেরিকা’, ‘কোনান দ্য বারবারিয়ান’, ‘দ্য লায়ন কিং’সহ বেশ কিছু সিনেমা। তবে ঘুরেফিরে তাঁকে আলোচনায় রেখেছিল ডার্থ ভেডার। ‘স্টার ওয়ারস’ ত্রয়ীর এ চরিত্রটির ভরাট কণ্ঠস্বরের জন্য দর্শক এখনো তাঁকে মনে রেখেছে।
এই অভিনেতার প্রয়াণে ‘স্টার ওয়ারস’ সিনেমায় ডার্থ ভেডারের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করা মার্ক হ্যামিল শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হৃদয় ভেঙে যাওয়ার ইমোজি প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘শান্তিতে ঘুমাও, বাবা।’ এই অভিনেতার প্রয়াণে ‘ফিল্ড অব ড্রিমস’ সিনেমার অভিনেতা ও দুইবার অস্কারজয়ী কেভিন কস্টনার লিখেছেন, ‘সেই মন্দ্র কণ্ঠস্বর। সেই প্রশান্ত শক্তি। দয়ায় আচ্ছাদিত দীপ্তি। তার লিগাসি নিয়ে কত কিছুই না বলার আছে। আমি শুধু এটুকুই বলব, “ফিল্ড অব ড্রিমসে” তারই কিছুটা অংশ হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।’
দুইবার এমি পুরস্কার জয় করেছেন জোন্স। একবার করে পেয়েছেন গ্র্যামি ও গোল্ডেন গ্লোব। এ ছাড়া পেয়েছেন আরও নানা স্বীকৃতি ও সম্মাননা। সারা জীবনের কাজের জন্য ২০১১ সালে তাঁকে একাডেমি কর্তৃপক্ষ সম্মানজনক অস্কার প্রদান করে। এর আগে ১৯৭১ সালে তিনি ‘দ্য গ্রেট হোয়াইট হোপ’ সিনেমার জন্য অভিনেতা হিসেবে অস্কারে মনোনয়ন পান। জোন্স সিডনি পয়টিয়ের–এর পরে অস্কার মনোনয়ন পাওয়া দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ। এই সিনেমার জন্য তরুণ উদীয়মান অভিনেতা হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারও জিতেছিলেন জোন্স।
আইএমডিবি তথ্য থেকে জানা যায়, তাঁর জন্ম ১৯৩১ সালে। তিনি ‘গাইডিং লাইট’ টিভি সিরিজ দিয়ে ১৯৫২ সালে ক্যারিয়ার শুরু করেন। জোন্স স্ট্যানলি কুবরিকের বিখ্যাত সিনেমা ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জলাভ: অর হাউ আই লার্নড টু স্টপ ওয়ারিং অ্যান্ড লাভ দ্য বম্ব’ দিয়ে সিনেমায় নাম লেখান। সিনেমাটি ১৯৬৪ সালে চারটি শাখায় অস্কার মনোনয়ন পায়। এই সিনেমা জোন্সের পরিচিতি বাড়িয়ে দেয়। অভিনয়ের পাশাপাশি অনেক সিনেমায় কণ্ঠও দিয়েছিলেন। সবশেষ তিনি ২০২২ সালে ‘ওবি-ওয়ান কেনোবি’ টিভি মিনি সিরিজেও কণ্ঠ দিয়েছিলেন।