২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

এতদিন পর চড়-কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন জাডা

অস্কারের মঞ্চে মার্কিন কমেডিয়ান ক্রিস রককে চড় মারেন অভিনেতা উইল স্মিথ
ছবি: রয়টার্স

৯৪তম অস্কারে ঘটেছিল অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা। চলতি বছরের ২৮ মার্চ অস্কারের মঞ্চে মার্কিন কমেডিয়ান ক্রিস রককে চড় কষেছিলেন অস্কারজয়ী অভিনেতা উইল স্মিথ। ঘটনার সূত্রপাত ক্রিস রক মঞ্চে আসার পর। মঞ্চে দাঁড়িয়েই উইল স্মিথের স্ত্রীকে নিয়ে ঠাট্টা করেন ক্রিস। চুল পড়ার সমস্যার কারণে ন্যাড়া মাথায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন স্মিথের স্ত্রী জাডা পিংকেট স্মিথ।
উইল স্মিথের স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে ক্রিস বলেন, জাডা, ‘জিআই জেন টু’-এর জন্য তর সইছে না। ‘জিআই জেন’ ১৯৯৭ সালের ছবি, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনয়শিল্পী ডেমি মুরের ছিল ন্যাড়া মাথার জর্ডান ও’নিলের চরিত্র। ক্রিসের এ রসিকতায় শুরুতে হাসতে দেখা যায় দর্শকসারিতে বসা উইল স্মিথকে কিন্তু বিরক্ত হন তাঁর স্ত্রী জাডা। উইল স্মিথ আসন ছেড়ে উঠে মঞ্চে গিয়ে কষে এক থাপ্পড় মারেন ক্রিসের গালে। পরে বিষয়টিকে হালকা করতে ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন ক্রিস।

উইল স্মিথ ও জেডা পিঙ্কেট স্মিথ
ছবি: সংগৃহীত

বহুল আলোচিত সেই ঘটনার পর অনেক জল গড়িয়েছে। উইল স্মিথ ক্ষমা চেয়েছে ক্রিস রকের কাছে। অস্কার কর্তৃপক্ষ ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে স্মিথকে। তবে চড়-কাণ্ডে এত কিছু হয়ে গেলেও চুপ ছিলেন জাডা। ঘটনার দুই মাস পর আলোচিত সেই বিষয়টি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন তিনি।

স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে উইল স্মিথ
ছবি–রয়টার্স

গতকাল বুধবার ফেসবুকে ‘রেড টেবিল টক’ নামে একটি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাডা। গতকাল অনুষ্ঠানটির বিশেষ পর্ব হয় অ্যালোপেশিয়া রোগ নিয়ে। যে রোগের কারণে চুল পড়ে যায়। সেই অনুষ্ঠানে চড়-কাণ্ড নিয়ে জাডা বলেন, তাঁরা দুজনই বুদ্ধিমান। তাঁদের শুধরে নেওয়ার সুযোগ আছে। তাঁরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে পুরোনো বন্ধুত্বে ফিরে যেতে পারে।

অস্কার মঞ্চে উইল স্মিথ
ছবি: সংগৃহীত

তবে অস্কার অনুষ্ঠানে চড় মারার ঘটনা অ্যালোপেশিয়া রোগ সম্পর্কে অনেক মানুষকে সচেতন করেছে বলেও মনে করেন জাডা। তাঁর দাবি, অ্যালোপেশিয়ার যন্ত্রণা না জেনেই যখন মানুষ তা নিয়ে মজা করেন, সেটা কতটা খারাপ লাগে ভুক্তভোগীরাই জানেন। তবে সচেতনতারও খামতি আছে। সবাইকে খোলামেলাভাবে এই রোগ নিয়ে জানানো উচিত।
পুরস্কারের মঞ্চে রাগের মাথায় স্মিথ যা করেছেন, সমর্থন করেন না জাডা। তাঁর মতে, হিংসা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।