কিছু কমেন্ট দেখলে খুবই রাগ ওঠে
>চলচ্চিত্র ‘আগস্ট ১৯৭৫’-এ অভিনয় করেছেন মাসুমা রহমান নাবিলা। লেখক ও রাজনীতিক বেবী মওদুদের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। পবিত্র ঈদুল আজহায় ‘নাবিলার দিনরাত্রি’ নামে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করেছেন তিনি। ‘নতুন স্বাভাবিক’ সময়ে কাজে ফেরাসহ নানা প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতি কেমন ছিল?
অভিনয়ে আমি সব সময় নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই। যখনই জানলাম বেবী মওদুদের চরিত্রে অভিনয় করতে হবে, তখন তাঁর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখে তাঁর কথা বলার ধরন, বাচনভঙ্গি রপ্ত করার চেষ্টা করেছি। কাহিনির প্রেক্ষাপট নিয়ে পড়াশোনাও করেছি। শুটিংয়ের আগে দুই দিন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম।
‘নাবিলার দিনরাত্রি’র মতো অনুষ্ঠান থেকে বাড়তি প্রাপ্তি কী?
এই অনুষ্ঠান আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিয়েছে। এখান থেকে পাওয়া অনেক কিছু আমার ব্যক্তিজীবনে ইমপ্লিমেন্ট করার চেষ্টা করেছি। যেমন শিগগির আমি একটি বাগান করব।
নতুন স্বাভাবিকে কাজে ফিরছেন কবে?
আমি এখনো মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। অনেক সাহস নিয়ে ‘আগস্ট ১৯৭৫’ চলচ্চিত্রের কাজে বের হয়েছিলাম। আপাতত আর কাজে ফিরছি না। আমার শাশুড়ি করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই সপ্তাহ আইসিইউতে ছিলেন। কাছ থেকে তাঁর ধকল দেখছি। তখনই একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম। আমি চাই না আমার পরিবারের আর কেউ এর ভেতর দিয়ে যাক।
ঈদেও বাইরে বের হননি?
একটু পরিবেশ বদলের জন্য অল্প সময়ের জন্য বের হয়েছিলাম। চারদিকে সবুজ গাছপালা দেখা প্রয়োজন ছিল। বরকে নিয়ে ঢাকার কাছে একটা অবকাশযাপন কেন্দ্রে কিছুটা সময় কাটিয়ে এলাম।
ঈদে কী রান্না করলেন, মানে আপনার বরের প্রিয় কী কী পদ?
খাবারদাবার নিয়ে তাঁর আবদারের সীমা নেই। আমার তৈরি ডেজার্ট তাঁর খুব পছন্দের। এ ছাড়া আমার রান্না করা শাহী টুকরাও। অনেক সময় বাসায় মেহমান এলে সে ইনিয়ে–বিনিয়ে নিজের পছন্দের এই খাবারগুলোই তৈরি করতে বলে।
কর্মক্ষেত্রে করোনার প্রভাব কতটা ভোগাচ্ছে?
অনেক ভুগিয়েছে। বিশাল একটা পরিবর্তন এসেছে। বাইরে গিয়ে কাজ করার সাহসই পাচ্ছি না। লকডাউনের প্রথম দিকে খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম যে কীভাবে সারভাইভ করব। আমাদের তো বাঁধা বেতন নেই। পরে পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঘরে বসে কাজ শুরু করেছি।
কত দিন ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন বলে মনে হয়?
আমাদের আলাদা কোনো ফান্ড থেকে টাকা আসে না। সে জন্য যা আয় করি, সেটা থেকেই খরচ আর সঞ্চয় নিয়ে ভাবতে হয়। করোনা এভাবে চলতে থাকলে জমানো টাকা কমতে কমতে শেষ হয়ে যেতে পারে। কারণ, এখন ঘরে বসে যে টাকা আয় করছি, সেটা থেকে কোনো সেভিংস হচ্ছে না।
ফেসবুকে বন্ধু ও অনুসারীদের মন্তব্য করতে দেন না কেন?
মাঝেমধ্যে উদ্ভট কিছু কমেন্ট আসে। কিছু কমেন্ট দেখলে খুবই রাগ ওঠে। মাঝেমধ্যে উত্তর দিয়ে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু উল্টো তাঁরা আরও বাজে কথা লেখেন। তাঁরা আমার কথা শোনা বা বোঝার জন্য প্রস্তুত নন। তাঁরা ভালো কথার উত্তরে খারাপ কথা বলতেই কমফোর্টেবল। মনে হয়েছে, তাঁরা আমারই দেশের ভাই, কিন্তু এমন কেন?
চলচ্চিত্রে ফিরছেন কি না?
(হেসে) আসলে জমছে না। গল্প ও চরিত্র—যেকোনো একটা পছন্দ হলে অন্যটা হচ্ছে না। আমি আসলে জোর করে কিছু করতে চাই না। ক্রিয়েটিভ কাজে ছাড় দিতে চাই না।