পাত্র পছন্দের বিষয়ে আমি খুবই কাঁচা
এই প্রথম ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করলেন লাক্স তারকা মিম মানতাসা। নাটকটির নাম ‘১০০-তে একশ’। পরিচালক আবু হায়াত। প্রচারিত হবে মাছরাঙা টেলিভিশনে। ধারাবাহিকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা এবং ব্যক্তিগত বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বললেন তিনি।
প্রশ্ন :
আগে ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেননি কেন?
প্রথম থেকেই বেশ কিছু কারণে ধারাবাহিক নাটকে নাম লেখানোর ইচ্ছা ছিল না। গল্পটা মজার মনে হওয়ায় কাজটি করেছি। তা ছাড়া করোনার মধ্যে মনে হলো ধারাবাহিক করা দরকার।
প্রশ্ন :
এই নাটকে জাহিদ হাসান আপনার সহশিল্পী, শুনেছি তিনি শুটিংয়ে অনেক মজা করেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
আমি ছোট মানুষ। প্রথমে ভয় পাচ্ছিলাম। জাহিদ ভাই বলে কথা! শুটিং করতে গিয়ে দেখি, জাহিদ ভাই সিনিয়র হলেও খুব মজার মানুষ। তাঁর জন্যই নাটকের শুটিংয়ে পুরোটা সময় হাসির ওপর থেকেছি। কিছু ভুল করলেও তিনি সব সময় সহযোগিতা করেছেন। আমি তাঁকে আমার আদর্শ মনে করি। আমি এখনো জাহিদ–মৌ জুটির ভক্ত।
প্রশ্ন :
নাটকে আপনার চরিত্রটা কেমন?
নিলি চরিত্রে অভিনয় করেছি। নাটকে আমি জাহিদ ভাইয়ের স্ত্রী। ইতালি থেকে দেশে এসেছি। চরিত্রটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। এই ধারাবাহিকের জন্য অন্য নাটকে অভিনয় করছি না।
প্রশ্ন :
চলচ্চিত্রে নাম লেখাবেন কবে?
করোনার কারণে কিছু পরিকল্পনা বাতিল হয়েছে। গতানুগতিক ছবি করে লাভ নেই। ভালো গল্প, চরিত্র হলেই নাম লেখাব। ছবি করলে একটু বুঝে–শুনে করতে চাই। এই জন্য সময় নিচ্ছি।
প্রশ্ন :
অভিনয়ের ইচ্ছাটা কীভাবে হলো?
আমি একজন পেইন্টার। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু অভিনয়শিল্পী হব ভাবিনি। লাক্স থেকে বের হওয়ার পরও আমি অনেক নাটকে কাজ করেছি। তখনো জানি না যে আমি অভিনয়ই করব। পরে অভিনয় করতে এসেই অভিনয়ের প্রেমে পড়ে গেছি। এখন অভিনয় করে অনেক মজা পাই।
প্রশ্ন :
লাক্সে যাওয়ার আগে কোনো বাধা ছিল?
কোনো বাধা ছিল না। তবে পরিবার মিডিয়ায় কাজ করা পছন্দ করেনি। কারণ, আমরা তো সাধারণ পরিবারের মানুষ। মা–বাবা ভাবতেন শিক্ষাগত যোগ্যতাই প্রধান। মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে জব করবে, এটাই চাইতেন। তবে লাক্স প্রতিযোগিতায় সেরা ১০–এ জায়গা করার পর তাঁরা খুবই অনুপ্রেরণা দিতেন। বিজয়ী হওয়ার পর খুব খুশি হয়েছিলেন।
প্রশ্ন :
প্রথম নাটকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?
তাহসান ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করি। লাক্সে তিনি আমার বিচারক ছিলেন। কীভাবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হবে, কীভাবে স্বাভাবিক থেকে অভিনয় করতে হয়, এগুলো তাহসান ভাইয়ের কাছ থেকেই শেখা।
প্রশ্ন :
লাক্স তারকা হওয়ার পর ক্যাম্পাসে গেলে বন্ধুরা কী বলেছিল?
সবাই খুব খুশি হয়েছিল। প্রথম যেদিন যাই, কাছের বন্ধুরা অনেকে জড়িয়ে ধরে কান্না করেছিল। কারণ, তারা আমার জন্য অনেক জায়গায় ভোট চেয়েছিল। সবার মধ্যে ভয় ছিল, আমি মুকুট পাব কি না। আমার শিক্ষক এবং সহপাঠীদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাকে অনেক সমর্থন করেছেন।
প্রশ্ন :
নাটকে তো অনেকবার বিয়ে করলেন, বাস্তবে কবে?
জীবনে আমি যা করেছি, সবই নিজের পছন্দে। কিন্তু এই একটি সিদ্ধান্ত পরিবারের হাতে ছেড়ে দিতে চাই। তাঁরা আমাকে কোথায় বিয়ে দেবেন, সেটা তাঁরাই জানেন। তা ছাড়া পাত্র পছন্দের বিষয়ে আমি খুবই কাঁচা। আমার মনে হয় মা–বাবা ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
প্রশ্ন :
এখন তো অনেকেই প্রেম করে বিয়ে করেন...
আমি মা–বাবার পছন্দেই বিয়ে করব।