আমার ছেলে যখন প্রশংসা করে, ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে চন্দ্রাবতী কথা। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলরুবা দোয়েল। এন রাশেদ চৌধুরী পরিচালিত চলচ্চিত্রটি এরই মধ্যে দর্শক ও চলচ্চিত্র সমালোচকদের মন জয় করেছে। ছবিটিসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বললেন অভিনয়শিল্পী।
প্রশ্ন :
এক সপ্তাহ তো হয়ে গেল। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
এককথায় দারুণ। আমাদের তো শুরুর দিকে প্রচার–প্রচারণাও এতটা ছিল না। তারপরও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও দেখে তাঁদের সুন্দর সব অনুভূতির কথা নানাভাবে জানিয়েছেন।
প্রশ্ন :
দর্শকের আগ্রহের মূল কারণ কী বলেন তো?
যাঁরাই এখন পর্যন্ত ছবিটি দেখেছেন, তাঁরা বলেছেন, চোখের একটা শান্তি পেয়েছেন। এই চলচ্চিত্রের আর্ট ও সিনেম্যাটোগ্রাফির প্রশংসা করেছেন। আবার এমনও মন্তব্য ছিল, সেই অর্থে ছবিতে চন্দ্রবতীর কোনো সংলাপই নেই, তারপরও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ তাঁদের অনেক আকর্ষণ করেছে। অনেককে আবার আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনারা কেন পছন্দ করেছেন? উত্তরে বলেছেন, ‘আপু, আমরা তো চন্দ্রাবতী কথা সম্পর্কে জানতামই না। ইতিহাস সম্পর্কেও জানা হলো। পালাগানের মাধ্যমেও যে একটা চলচ্চিত্রের এমন সুন্দর উপস্থাপন হতে পারে, এটা আমাদের ভালো লেগেছে।’ প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর আগে আমাদের এদিককার মেয়েরাও যে এত স্ট্রং ছিলেন, এটাই নাকি অনেকের ভাবনায় ছিল না। পৌরাণিক না কাল্পনিক ঘটনা, সেটা নিয়ে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। শেষ পর্যন্ত সত্য ঘটনা জেনে তাঁরা অবাক হওয়ার কথা বলেছেন।
প্রশ্ন :
চলচ্চিত্রে উৎসাহ পাচ্ছেন?
দ্বিতীয় সিনেমার এতটা সাড়া আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। তবে ছবিতে কাজ করার আগ্রহ নয়, অভিনয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা তৈরি হয়েছে। এই সিনেমা দেখার পর অনেকে আমাকে বলেছেন, ‘আপনার মডেলিংয়ের ছবি আর ওয়েব সিরিজেও দেখেছি, এবার পৌরাণিক একটা গল্পে দেখে ভালো লেগেছে।’ কাজ করার আগ্রহ তো বাড়াচ্ছে।
প্রশ্ন :
পরিবারের সবাই চলচ্চিত্রটি দেখেছেন?
আমার পরিবারের সবাই চলচ্চিত্রটি দেখেছে। ছবিটি দেখার পর আমার ১১ বছর বয়সী সন্তানের কথাগুলো বেশি ইমপ্রেসড করেছে। আগের সিনেমাটাও সে দেখেছে। চন্দ্রবতী কথা চলচ্চিত্রের গান সে খুব পছন্দ করেছে। ছেলের মুখে এসব শুনতে অদ্ভুত লাগে, খুব অদ্ভুত লাগে! ছেলে যখন প্রশংসা করে, ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি।
প্রশ্ন :
নতুন সিনেমায় অভিনয় নিয়ে কথা হচ্ছে?
একটি সিনেমার ব্যাপার আলোচনা চলছে। দেখা যাক কতদূর কী হয়।
প্রশ্ন :
অভিনয়ের কোনো পরিকল্পনা কি কখনো ছিল?
কখনোই ছিল না। তারপরও কীভাবে কীভাবে যেন হয়ে গেলাম। চন্দ্রবতী কথা চলচ্চিত্র যখন দ্বিতীয়বার দেখতে যাই, প্রেক্ষাগৃহের পর্দায় দিলরুবা হোসেন দোয়েল নামটা আসতেই, ছোটবেলার মেমোরিতে ফিরে গিয়েছিলাম। সিক্স কি সেভেনে পড়ার সময় রংপুরের শাপলা টকিজে মায়ের সঙ্গে এ মন চায় যে ছবিটি দেখতে গিয়েছিলাম। শাবনূরের নাম পর্দায় দেখতেই আম্মুকে বলছিলাম, মা, দেখো দেখো নায়িকার নাম কীভাবে পর্দায় উঠছে। একদিন যদি আমার নামও উঠত। কিছু না বুঝেই কিন্তু বলেছিলাম। ভেতরকার ইচ্ছা ছিল হয়তো। তাই তো সিনেমা দেখতে গিয়ে, নাম দেখে প্রতিবার ছোটবেলায় ফিরে গেছি।
আজকের বিনোদনের সর্বশেষ খবর পড়তে ভিজিট করুন।