নতুন গানগুলো নিয়ে শ্রোতাদের কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
‘তোমার জানালাজুড়ে’ গানটি তো মাত্রই প্রকাশ হলো, গানটি সবার পছন্দ হয়েছে। গানটি লিখেছেন সাকি আহমেদ। সুর করেছেন কেতন শেখ। গানটির মাঝে নব্বইয়ের দশকের ছোয়া আছে। পাশাপাশি মেলোডিয়াস। গানের কথা, সুর, চিত্রায়ণ সবটাই দারুণ। আর ‘উড়ালিয়া মন’ গানটিতে বেশ আগেই কণ্ঠ দিয়েছিলাম আমি। প্রেমের গানটির একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছি আমরা। এটির তো প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। অনেক দিন পর পূর্ণাঙ্গ একটি প্রেমের গান গেয়েছি। আর সাইদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ। এর আগে ‘মুজিব বাংলাদেশ’ আমার গাওয়া গান বেশ সাড়া ফেলেছিল। গানটি লিখেছি আমি। ছোট মানুষ হিসেবে মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছি গানটিতে। নতুন গানটির সুর করেছেন সাইদ। আমার স্বামী নোঙর ব্যান্ডের ভোকালিস্ট এবং গিটারিস্ট। বলতে পারেন তাঁর সঙ্গে গান করার জন্য আমি মুখিয়ে থাকি। তাই এই সুযোগটা আর হাতছাড়া করতে চাইনি।
লাইভ অনুষ্ঠান, স্টেজ শোগুলো কেমন চলছে?
মাঝে নির্বাচনের জন্য স্টেজ শোগুলো একটু কমে গেছে। তবে গত দুই মাস খুব জমজমাট ছিল। অনুষ্ঠান করে ব্যস্ত সময় পার করেছি। প্রচুর চাপ গেছে। এখন স্টেজ শো কম। রোজার সময়টিতে টিভি অনুষ্ঠানগুলো বেশি।
প্রথম আলো :
নতুন গান কি করছেন?
‘তোমার আকাশ’ শিরোনামে আমার লেখা ও সুর করা একটি গান আসছে। পাশাপাশি যৌথ অ্যালবামের কাজ করছি। অনেকগুলো গান একসঙ্গে করে একক অ্যালবাম প্রকাশ করার কথা ভাবছি।
প্রথম আলো :
প্রিয় গানের কথা বলুন, যেটা আপনার খুব পছন্দ।
নিজের করা সব গানই পছন্দের। তবে ‘হৃদয় যেখানে চাইছে হারাতে’, ‘দেখো আমারি খুশিতে’, ‘হ্যালো বৃষ্টির মতো’ গানগুলোই রন্টি দাশ হিসেবে সবার কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আমাকে। আমার প্রতিটি গানই আবেগ-অনুভূতিতে পরিপূর্ণ। এই গানগুলো খুব পছন্দ করেছেন মানুষ।
‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’-থেকে আজকের রন্টি দাশ-পথচলাটা কেমন ছিল?
২০০৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যাত্রাটা আমার কাছে অন্য রকম এক অনুভূতির নাম, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আজ দেশ-বিদেশে আমি গান করছি। দিন শেষে ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে চাই, এ ছাড়া নতুন কুঁড়িও স্মৃতিতে এখনো চিরসবুজ। চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলার অনুষ্ঠানে গান করে এবং ছবি আঁকার জন্য জীবনের প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলাম। পুরস্কার নিয়েছিলাম বিপ্লবী বিনোদ বিহারীর কাছ থেকে। এসব স্মৃতি কি কখনো ভোলা যায়!