আপনাকে ফোনে পাচ্ছিলাম না...
পরীমনি : আমি অসুস্থ। তাই ঘুমাচ্ছিলাম। দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছি।
প্রথম আলো :
আপনার বিরুদ্ধে তো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ হয়েছে।
পরীমনি : শুনলাম। ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে খবরটা দেখলাম। আমি আজ আদালতে যেতে পারিনি। এর আগেও একবার যেতে পারিনি, সেবার আমার মৃত নানুর একটা বিষয় ছিল। সে হিসেবে পরপর দুবার আমি আদালতে যেতে পারিনি। আজকে আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে পারিনি। আমার আইনজীবীকে তা জানিয়েছিও। আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, আজকে আমার অবশ্যই যাওয়া উচিত ছিল। সচেতন নাগরিক হিসেবেও মনে করছি, যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু শরীর অনেক বেশি খারাপ ছিল। শরীর অসুস্থ থাকলে তো কিছুই করার নেই। আমি বিছানা থেকে ওঠার মতো শক্তিও পাচ্ছিলাম না। ঠিক থাকলে আমি তো আদালতে যেতাম। আদালতে যাওয়া নিয়ে আমার কখনোই কোনো সমস্যা ছিল না। মাতৃত্বকালীন সময়টায়ও কিন্তু আমি আদালতে যাওয়া বাদ দিইনি।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবরে আপনি কতটা চিন্তিত?
পরীমনি : এটা তো আসলে ...। পরিচিত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সবাই অনবরত ফোন করছে, খোঁজখবর নিতে। এটা তো আমার জন্য বাড়তি একটা যন্ত্রণা। বিব্রতকরও। উটকো ঝামেলা বলতে পারেন।
এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আপনি ভীত কি না?
পরীমনি : ভীত কেন হব? এখানে ভয়ের কিছু নেই। আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করব। জামিনের জন্য আবেদন করবেন আমার আইনজীবী।
ফেসবুকে অনেকে লেখালেখি করছেন, টাঙ্গাইলের অনুষ্ঠানে যেতে না পারা নিয়ে গতকাল আপনি যে পোস্ট দিয়েছেন, তার সঙ্গে দ্রুত এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার যোগসূত্র আছে?
পরীমনি : যে যা মন চায় করুক। যা মন চায় ভাবুক—এসব নিয়ে আমি কিছুই ভাবতে চাই না। আমার কোনো কিছুতে সমস্যা মনে হলে আমি কথা বলবই। আমার গায়ে লাগলে আমি কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। সবার মতো আমি চুপ করে থাকতে পারি না। যেকোনো অন্যায় নিয়ে আমি কথা বলছি। এই অন্যায় নিয়ে কথা বলার কারণে আমাকে যদি বারবার জেলে যেতে হয়, আমি গেলাম। আর কী করব। কিছু হলেই জেলে পাঠাবে, তাহলে তো দেশের কেউ কথাই বলবে না। সবাই বোবা হয়ে থাকবে? আমৃত্যু আমি অন্যায় দেখলে কথা বলব, যা আছে কপালে।