মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের মুকুট জিতলেন শিলা
‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯’ নির্বাচিত হলেন শিরিন আক্তার শিলা। বুধবার রাতে বসুন্ধরা কনভেনশনের নবরাত্রী হলে অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত পর্বে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। কয়েক হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে মিস ইউনিভার্স মুকুট ছিনিয়ে নেন তিনি। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন আনিশা ইসলাম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ জেসিয়া ইসলাম।
বিজয়ী শিলার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন সাবেক মিস ওয়ার্ল্ড ও ভারতীয় তারকা সুস্মিতা সেন। মাথায় বিজয়ের মুকুট পরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিরিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা একজন সৈনিক। তিনি দেশ পাহারা দেন, আজ থেকে আমিও দেশের জন্য কাজ করব। দেশকে সেবা করব। আমিই বাংলাদেশ।’
শিরিনের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। এর আগে সেরা দশ থেকে পাঁচজন নির্বাচন করা হয়। সেরা পাঁচ হলেন মারিয়া মুমু, জেসিয়া ইসলাম, শিরিন আক্তার শিলা, আলিশা ইসলাম ও আলফা আম্রান।
অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ ছিল মিস ওয়ার্ল্ড ৯৪ বিজয়ী সুস্মিতা সেন। তিনি রাত ৯টার পর মঞ্চে আসেন। মঞ্চে দাঁড়ানো সেরা দশজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর মাইক্রোফোন হাতে মিলনায়তনে ভর্তি দর্শকের উদ্দেশ্যে সুস্মিতা বললেন, ‘কেমন আছো সবাই? আবার বাংলাদেশে এলাম। যখনই বাংলাদেশে আসি, নিজের ঘর মনে হয়।’
নিজের মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ের কথা স্মরণ করে সুস্মিতা সেন বলেন, ‘এই প্ল্যাটফর্ম আমাকে বিশ্ব চিনিয়েছে, আমার জীবনকে পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আজ এখান থেকে যিনি মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত হবেন, তিনি বিশ্বমঞ্চে এই সুন্দর বাংলাদেশ তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি যখন মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ছিলাম, তখন ইংরেজি বলতে পারতাম না, ভাষা বড় কথা না, আত্মবিশ্বাসই বড় ব্যাপার।’
এবারই প্রথম এ ধরনের সুন্দরী প্রতিযোগিতা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হলো। প্রতিযোগিতার মূল স্লোগান ছিল ‘আমার আত্মবিশ্বাস, আমার সৌন্দর্য’। ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ'-এর চেয়ারম্যান রিজওয়ান বিন ফারুক বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর বসবে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার ৬৮তম আসর। ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ বিজয়ী ওই আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
এই প্রতিযোগিতার মূল বিচারক হিসেবে ছিলেন সংগীত তারকা ও অভিনেতা তাহসান খান, রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান, হেরিটেজ ক্র্যাফটসের তুতলি রহমান, রুবাবা দৌলা, ফারজানা চৌধুরী, সাবেক ক্রিকেটার আতাহার আলী খান প্রমুখ।
মাসখানেক আগে থেকে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার নিবন্ধন কাজ শুরু হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে অংশ নেওয়ার জন্য ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ৮ হাজার প্রতিযোগী নাম নিবন্ধন করেন। নিবন্ধন শেষে শুরু হয় অডিশন রাউন্ড। এরপর মূল প্রতিযোগিতা। এর মাঝেই ছিল গ্রুমিং ও ফিল্মিং রাউন্ড। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ধাপ শেষে অনুষ্ঠিত হলো ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে।