মণিপুরি থিয়েটারের রজতজয়ন্তীতে বছরব্যাপী আয়োজন
আজ মণিপুরি থিয়েটারের রজতজয়ন্তী। ১৯৯৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ‘মেঘ-বৃষ্টি-রোদ’ নাটকটির মধ্য দিয়ে দলটি যাত্রা শুরু করে। এরই মধ্যে দলটি নাট্য প্রযোজনাসহ ঐতিহ্যবাহী পালা, গান, নৃত্য, সাহিত্য, গবেষণা, পাঠসহ নানা ক্ষেত্রে কাজ করে পাড়ি দিয়েছে ২৫টি বছর। রজতজয়ন্তী উপলক্ষে দলটি থেকে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আজ রজতজয়ন্তী উদ্যাপন করা হবে রাত ৯টায়। মণিপুরি থিয়েটারের নটমণ্ডপে সীমিত পরিসরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মণিপুরি থিয়েটারের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি অনুষ্ঠানটি প্রচার করা হবে। এ ছাড়া জ্যোতি সিনহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে থাকছে একটি ভিডিও বার্তা। সেখানে অংশগ্রহণ করবেন দেশের বেশ কয়েকজন নাট্য ব্যক্তিত্ব।
মণিপুরি থিয়েটার সূত্র জানিয়েছে, রজতজয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করা হবে মণিপুরি থিয়েটারের ওয়েবসাইট। এ ছাড়া রজতজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী বিভিন্ন পর্যায়ে নাট্যোৎসব, নাট্যভ্রমণ, সেমিনার, কর্মশালা ইত্যাদি আয়োজন করা হবে।
এ ছাড়া বংলাদেশ ও ভারতের নানা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সম্মাননা অর্জন করেছে দলটি। মণিপুরি থিয়েটারের বর্তমান সভাপতি শুভাশিস সিনহা ও সাধারণ সম্পাদক জ্যোতি সিনহা।
মণিপুরি থিয়েটার বাংলা ও বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষায় ৩২টি প্রযোজনা মঞ্চে এনেছে। ‘কহে বীরাঙ্গনা’, ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’, ‘দেবতার গ্রাস’, ‘ইঙাল আঁধার পালা’, ‘হ্যাপি ডেজ’, ‘ও মন পাহিয়া’সহ দলটির বেশ কয়েকটি প্রযোজনা নাট্যঙ্গনে আলোচিত হয়। ২০১০ সালে মণিপুরি থিয়েটার নিজেদের উদ্যোগে নির্মাণ করে গ্রামীণ থিয়েটার স্টুডিও নটমণ্ডপ।
২০০৮ সালে মণিপুরি থিয়েটার অর্জন করে সুবচন প্রবর্তিত আরজু স্মৃতি পদক, ২০১১ সালে চলচ্চিত্রকার আব্দুল জব্বার খান স্মৃতিপদক (‘কহে বীরাঙ্গনা’ নাটকের জন্য) এবং ২০১৩ সালে থিয়েটার আর্ট ইউনিট প্রবর্তিত এস এম সোলায়মান প্রণোদনা।