২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

এ বছরের বড় সব সাংস্কৃতিক আয়োজন

২০২১ সাল বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর বাংলাদেশিরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করবে, যেখানে সংস্কৃতি অঙ্গনের অংশীদারত্ব থাকবে সবচেয়ে বেশি। নাচ, গান, নাটক, সিনেমায় উঠে আসবে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।

নাচ, গান, নাটক, সিনেমায় উঠে আসবে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য

মহামারি ও অজানা শঙ্কায় চলে গেল ২০২০ সাল। ২০২১ সাল বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর বাংলাদেশিরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করবে, যেখানে সংস্কৃতি অঙ্গনের অংশীদারত্ব থাকবে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের কাছে নিজেদের সাংস্কৃতিক পরিচয় নতুন করে তুলে ধরার এ সুযোগ কোনোভাবেই জাতি হাতছাড়া করবে না।

সিনেমার উৎসব
২০২১ সালকে বলা যেতে পারে সিনেমার বছর। প্রথমত, করোনাকালীন দুর্দিন পেরোনো, দ্বিতীয়ত মুজিব জন্মশতবর্ষ উদযাপন, তৃতীয়ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন। তাই চলচ্চিত্রকার ও অনুষ্ঠান আয়োজকেরা এ বছর ওড়াবেন উৎসবের রঙিন ফানুস।

জানুয়ারি মাস শুরু হবে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব দিয়ে। জানুয়ারির ১৬ থেকে ২৪ তারিখ চলবে এ উৎসব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখানে দেখা যাবে দেশ-বিদেশের নতুন সব সিনেমা। চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ ৩০ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করেছে ১৪তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। সেখানেও থাকবে দেশ-বিদেশের শিশুদের নির্মিত নতুন নতুন সিনেমা। এ বছর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নিয়ে উৎসব করবে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিস অব বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের ছবির প্রদর্শনী ছাড়াও থাকবে নতুন চলচ্চিত্র, নতুন নির্মাতা উৎসব, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নিয়ে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম।

দেশের প্রেক্ষাগৃহের জন্য প্রায় ৩৩টি সিনেমা প্রস্তুত করে রেখেছেন দেশীয় নির্মাতারা। এগুলোর মধ্যে সেন্সর সনদ পেয়ে গেছে ১০টি ছবি। বাকিগুলোর টুকটাক শুটিং ও প্যাচওয়ার্ক বাকি। তারকা নির্মাতার পরিচালনা ও তারকা শিল্পীদের অভিনয়, এসব বিবেচনায় ছবিগুলোর মধ্যে ব্যবসায়িক সাফল্য আসতে পারে ‘বিদ্রোহী’, ‘শান’, ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘মিশন এক্সট্রিম টু’, ‘হাওয়া’, ‘পাপপুণ্য’ ছবিগুলো থেকে। সিনেমা হল ছাড়াও কিছু কিছু ছবি মুক্তি পাবে দেশীয় বিভিন্ন ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্মে।

* সবগুলো জেলায় মঞ্চনাটক * রাজধানীতে মঞ্চনাটক * বদ্ধভূমিতে গণহত্যার নাটক

নতুন সব মঞ্চনাটক
মুজিব জন্মশতবর্ষকে কেন্দ্র করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ৬৪ জেলায় ৬৪টি মঞ্চনাটকের আয়োজন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ঢাকাতেও থাকবে পৃথক একটি নাটক ও একটি যাত্রাপালা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৬৪টি জেলার বদ্ধভূমিতে থাকবে গণহত্যার ওপর তাদের এনভায়রনমেন্টাল থিয়েটার। খোলা জায়গায় বসে দর্শক সেসব উপভোগ করতে পারবেন।

করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে এ বছরও বসবে দুই বাংলার যৌথ আয়োজন গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে সারা দেশের বিভিন্ন জেলার নাট্যদলকে নিয়ে আয়োজন করবে ৫০টি নাটকের প্রদর্শনী। এ ছাড়া রাজধানীর দলগুলোর প্রায় সবাই নতুন নাটক নিয়ে অপেক্ষমাণ।

* ফেব্রুয়ারির ১২ থেকে ২২ ছবিমেলার বিশেষ আয়োজন রেখেছে দৃক * বসতে পারে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব * চারুকলার বিশেষ সব প্রদর্শনী

শিল্পকলা একাডেমির সাংস্কৃতিক আয়োজন
মুজিব বর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ থাকবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বছরজুড়ে সাইবার ক্রাইমবিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে সাংস্কৃতিক আন্দোলন, মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে সংস্কৃতি, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর শিল্প আন্দোলন, সোনার মানুষ গড়ার শিল্প আন্দোলনসহ নানা আয়োজন রেখেছে বলে জানিয়েছেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

অন্য রকম সব প্রদর্শনী
মানুষকে সচেতন করতে ও তাদের মনোবল অটুট রাখতে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করবে আর্ট অ্যাগেইনস্ট করোনা চিত্র প্রদর্শনী। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের বৃহৎ শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক সামদানি আর্ট ফাউন্ডেশন করবে চারুকলার বিশেষ প্রদর্শনী। ফেব্রুয়ারির ১২ থেকে ২২ ছবিমেলার বিশেষ আয়োজন রেখেছে দৃক। এ বছর বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানাস ড্রিম’কে বিষয়বস্তু করে বাংলাদেশের কীর্তিমান নারীদের কাজ নিয়ে একটি প্রদর্শনীর পরিকল্পনা আছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের, জানালেন সংস্থাটির মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী। এ ছাড়া কারুশিল্পীদের নিয়ে নানা রকম কাজও এ বছর করবেন তাঁরা।

সংগীত আর নৃত্যের উৎসব
সরকারের অনুমতি পেলে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবটি বেশ বড় পরিসরে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের। দেশের অন্তত দুটি বড় শহরে বড় আয়োজনে দুটি গানের আসর করার পরিকল্পনা করেছে ছায়ানট। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সাধনা ও নৃত্যযোগও প্রস্তুতি নিচ্ছে, বড় করে নৃত্য উৎসব করার।