শিশুদের উৎসবে পুরস্কার পেল যে সিনেমাগুলো
শেষ হলো ১৪তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উত্সব বাংলাদেশ–২০২১। উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রকে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার। বাংলাদেশি শিশু নির্মাতাদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ‘টেনোর’, ‘ত্রিকোণমিতি’, ‘ঠোঙা’, ‘পুপেট্রি’ ও ‘অ্যান ইন্টারভিউ অব আ মারিওনেট্টি’। তরুণ বাংলাদেশি নির্মাতা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ‘মাটি’ এবং বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে ‘লটারি’ ছবি দুটি। সামাজিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ‘আ নিওনরমাল’। আন্তর্জাতিক শিশু নির্মাতা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে তুরস্কের ছবি ‘স্লো’, আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে নেদারল্যান্ডসের ছবি ‘জেকি অ্যান্ড ওপজেন’, আন্তর্জাতিক শর্ট ফিল্ম বিভাগে আর্মেনিয়ার ‘আন্ডার দ্য স্টরকস নেস্ট’। আন্তর্জাতিক বিভাগের সেরা নির্মাতার পুরস্কার পেয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা আনি ওগানেস্যান। আনি পরিচালিত আর্মেনিয়ান ছবিটির নাম ‘আন্ডার দ্য স্টরকস নেস্ট।’
এবারের উৎসবে রাজধানীর মোট ৩টি মিলনায়তনে ৩৭টি দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে প্রদর্শনী চলে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে চলে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিটি প্রদর্শনীতেই ছিল একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র।
এ উত্সবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ ছিল বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত ছবির প্রতিযোগিতা বিভাগ। এই বিভাগে ৬১টি চলচ্চিত্রের মধ্যে নির্বাচিত ১৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। এগুলোর মধ্য থেকে ৫টি চলচ্চিত্রকে দেওয়া হয় পুরস্কার। পুরস্কারের জন্য গঠিত পাঁচ সদস্যের জুরিবোর্ডের সবাই ছিল শিশু-কিশোর।
গত শুক্রবার বিকেলে উত্সব পরিচালক ফারিহা জান্নাত মিমের সভাপতিত্বে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন আয়োজক কমিটির নির্বাহী সদস্য আবীর ফেরদৌস। প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এ ছাড়া বিনোদন অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মসিহউদ্দিন শাকের, শতাব্দী ওয়াদুদ, প্রসূন রহমান, আকরাম খান, সাদিয়া খালিদ রীতি, আরিফুর রহমান প্রমুখ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ বলেন, শিশুদের মাঝেও ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে বলেই করোনাভাইরাসের দুর্যোগের মধ্যেও শত বাধা পেরিয়ে এই উত্সব সফলভাবে আয়োজন করতে পেরেছে। লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমার কর্মজীবনে শিশুদের এমন দক্ষ আয়োজন আর কোথাও দেখিনি।’
‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ-এর আয়োজনে ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় সাত দিনের আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উত্সব বাংলাদেশ।