টানা ১৫ বছর জন্মদিনে মন খারাপ থাকে মাহির
রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ঢালিউড তারকা মাহিয়া মাহি। পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়েতে হঠাৎ যাত্রাবিরতিতে নামেন সবাই। সেখানে মাহির জন্য অপেক্ষা করছিল চমক। গাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে ছিল একটি কেক। বন্ধুরা গাড়ি থেকে কেকসহ নেমে মাহিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। নায়িকা মাহিও সেই কেক কেটে জন্মদিন উদ্যাপন করেছেন পথে।
বাড়তি কোনো আয়োজন ছিল না। মাহি জানান, রাতে মা–বাবার সঙ্গে প্রথম কেকটি কাটেন তিনি। বর মাহমুদ পারভেজ অপু ঢাকায় নেই, তবে তিনিই মাহিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সবার আগে। শুধু তা–ই নয়, স্ত্রীর জন্য উপহার পাঠাতেও ভোলেননি তিনি। তবে কী উপহার পাঠিয়েছেন, সেটা জানাতে চাননি মাহি।
মাহির বর অপু এখন সিলেটে। কথায় কথায় মাহি জানালেন, আজ মা–বাবার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে বেড়াতে যাবেন তিনি। মাহি বলেন, ‘পরিচিতজনেরা কেক নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়েছি। বর কাছে নেই। তবে উপহার পাঠিয়েছে বলে খুশি হয়েছি।’
ছেলেবেলায় এক দুর্ঘটনায় মারা যান মাহির খুব কাছের এক বন্ধু। সেদিন ছিল মাহির জন্মদিন। সেই ঘটনার পর থেকে টানা ১৫ বছর জন্মদিনে মন খারাপ থাকে মাহির। তখনকার স্মৃতি মনে করে মাহি বলেন, ‘তখন ক্লাস সিক্সে পড়ি। পড়াশোনা, বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা, দুষ্টুমি করেই কেটে যেত। দুর্ঘটনার দিনে কাছের এক বন্ধু বায়না ধরে, রাত ১২টায় জন্মদিন পালন করবে।
সে চেয়েছিল রাত ১২টায় কেক কেটে জন্মদিন উদ্যাপন করতে। কিন্তু আমি বাসা থেকে বের হতে পারিনি। অভিমান করে সে আত্মহত্যা করে। তারপর থেকে জন্মদিন উদ্যাপন বা কোনো উপহার নেওয়া আমাকে সেভাবে টানে না। আমার কোনো প্ল্যানও থাকে না।’
চলতি মাসে শুটিংয়ের জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল মাহির। ভিসা জটিলতায় সেটি আর হয়নি। তিনি বলেন, ‘নবাব এলএলবি’ ছবির গানের দৃশ্য বাকি আছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বাইরে যাবেন সেই শুটিংয়ে। এখন মাহি ব্যস্ত ‘আশীর্বাদ’ ছবির কাজ নিয়ে। করোনায় স্থগিত রয়েছে ‘স্বপ্নবাজি’ ছবির কাজ। শিগগিরই শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
মাহিয়া মাহি ১৯৯৩ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০১২ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবিটি দিয়ে বড় পর্দায় তাঁর অভিষেক হয়।