দেখেন, ভালো ছবি কিন্তু ভাইরাল হয় না: পরীমনি
ফেসবুক পেজে রাজের সঙ্গে একটি ছবি প্রকাশ করেছেন পরীমনি। স্ট্যাটাসে খুশির ইমো দিয়ে লিখেছেন, ‘শব্দেরা মিলিয়ে যায়...।’ ছবিতে দেখা যাচ্ছে পেটে হাত রেখে হাস্যোজ্জ্বল মুখে দাঁড়িয়ে পরী। পেছন থেকে তাঁকে জড়িয়ে ধরে আছেন রাজ। ছবিটি দেখে অনেকেই মনে করছেন পরীর বেবি বাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এমনটাই ছড়িয়েছে। এটাকে পরীর বেবি বাম্পের ছবি আখ্যায়িত করে দু-একটি ওয়েব পোর্টাল খবরও প্রকাশ করেছে। এখন পর্যন্ত ছবিটিতে ৬০ হাজার লাইক পড়েছে, শেয়ার হয়েছে ১৩৯টি। কমেন্ট বক্স নিয়ন্ত্রণে রাখায় মন্তব্য দেখার সুযোগ হয়নি।
তবে পরীমনি বিষয়টিকে স্রেফ গুজব বলে হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথা, সবাই পাগল নাকি? সাত-আট মাস না গেলে বেবি বাম্প কি বোঝা যায়? মানুষের এ ধরনের আলোচনায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন পরীমনি। বলেন, ‘খুব খারাপ লাগে, মানুষ না বুঝে, না শুনে কীভাবে এমনটি করতে পারেন। দেখেন, ভালো ছবি কিন্তু ভাইরাল হয় না। এই যে আমি সিনেমার প্রচার করি, এতিমখানায় যাই, এতিম বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটানোর ছবি দিই, সেসব ছবি ভাইরাল হয় না। অথচ একটু অন্য রকম ছবি হলেই ভাইরাল। আর ভালো লাগে না এসব। ২ মার্চ আমার মুখোশ ছবির প্রিমিয়ার শোতে থাকব। সবাই দেখবেন সত্যিই আমার বেবি বাম্প কি না। তাহলে তো বিশ্বাস হবে।’
তবে সময় হলে বেবি বাম্পের ছবি একটু ভিন্নভাবে প্রকাশ করতে চান পরীমনি। বলেন, ‘আমি বেবি বাম্পের জন্য অপেক্ষা করছি। ছবি ছাড়ার জন্যও। নিষ্পাপ শিশুর মতো পরিবেশে তোলা হবে সেই ছবি। সমুদ্র ও সবুজ পাহাড়ে দাঁড়িয়ে বেবি বাম্পের ছবি তুলব। সেই ছবি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুকে প্রকাশ করব।’
ঢাকার চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর সবার জানা। প্রায় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। সম্ভাব্য সন্তানের আগমনের খুশিতে অনেকটাই
আত্মহারা হয়ে দিন যাপন করছেন এই নায়িকা। তাঁর ভাষায়, ‘পাঁচ-ছয় মাস না হলে পেটের মধ্যে বাচ্চার নড়াচড়া বোঝা যায় না। কিন্তু আমার এখনই মনে হয় যেন পেটের মধ্যে নড়চড় করছে, লাথালাথি করছে। হা হা হা...। আমি সারাক্ষণ পেটে হাত দিয়ে রাখি। অনুভব করি। কী যে ভালো লাগে আমার।’
তবে বেশ কিছুদিন ধরে রাতে ঠিকঠাক ঘুমাতে পারেন না পরীমনি। তিনি বলেন, ‘সারা রাত আমার ঘুম আসে না। তাকিয়ে থাকি। সকাল সাতটা–আটটার দিকে ঘুম আসে। প্রেগনেন্সিতে হলে নাকি এমন হয়। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমার বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না, বিরক্ত লাগে না। খালি কল্পনায় সন্তানের মুখ ভাসে।’
ছেলে নাকি মেয়ে, কী প্রত্যাশা করেন? জানতে চাইলে হাসতে হাসতে পরীমনি বলেন, ‘এখনই কী বলা যায়? ছেলে–মেয়ে কোনো বিষয় না। আমার প্রথম সন্তান হবে। যা হবে, তা–ই আমার পৃথিবী। আর আমার চাওয়া প্রথম সন্তান যেন সুস্থভাবে আগমন ঘটে।’
উচ্ছ্বসিত পরীমনি বলেন, ‘আমি অনেকটাই অধৈর্য হয়ে পড়েছি। অপেক্ষা আর ভালো লাগে না। ইশ্! কখন যে সন্তানের মুখ দেখব।’