জয়ার ছাদবাগানে বাম্পার ফলন
দুই হাতে মাটি সরিয়ে যেন গুপ্তধন বের করে আনলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। তাঁর ছাদবাগানের মাটির নিচে জন্মেছে অদ্ভুত আলু। জিআই ব্যাগের ভেতরে মাটি ফেলে ইস্কাটনের বাসার ছাদে বাগান করেছেন তিনি। করোনার অবসরে বাগান নিয়েই ছিল তাঁর ব্যস্ততা। সেই ছাদ ও ব্যালকনির বাগানে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে সবজি ও ফলের।
বাগান করা জয়া আহসানের শখ। তাঁদের বাসার ছাদ ও ব্যালকনির চারপাশে প্রায় শতাধিক ফল ও সবজির গাছ। করোনায় তাঁর বেশির ভাগ সময় কেটেছে এই বাগানে। নতুন গাছ লাগানো আর পরিচর্যা করে কাটিয়েছেন তিনি। জয়া জানালেন, বাড়ির অন্যতম সদস্য প্রিয় কুকুর ক্লিওকে খাওয়ানোর জন্য বাসায় মিষ্টি আলু কিনে রেখেছিলেন। একসময় দেখেন সেই আলুতে চারা গজিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো ব্যালকনির বাগানে পুঁতে ফেলেন তিনি।
প্রায় সাত মাস পর আজ সেই আলু তুলতে গিয়ে চমকে ওঠেন এই অভিনেত্রী। জয়া আহসান বলেন, ‘করোনার একটু আগে পাতার জন্য, মূলত ছায়া হওয়ার জন্য কিছু গাছ লাগিয়েছিলাম। কদিন ধরে দেখি ব্যাগ ফেটে যাচ্ছে। আজ খুলে দেখি মিষ্টি আলুগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। একেকটা দুই কেজির কাছাকাছি। আমি গাছে কোনো সার দিইনি, তবু কেন এত বড় হলো, বুঝতে পারছি না। দেখে খুশি খুশি লাগছে।’ জানালেন, এই আলু ক্লিওকে নিয়ে খাবেন তাঁরা।
কী কী সবজি ও ফল আছে তাঁর বাগানে? চালকুমড়া, থাই বেগুন, বরবটি, শিম, লেবু, মাল্টা, ডুমুর, বেদানা, বরই, পেয়ারা, সফেদা, বেরি, কামরাঙা ও ভেষজ নানা রকম গাছ। এমনকি বেশ কিছু বিদেশি সবজি, ফল ও ফুলগাছও আছে।
এই শহরে উঁচু উঁচু দালানের মধ্যে জয়ার ইস্কাটনের বাসার এই একটুকরা ছাদবাগান যেন তাঁর স্বস্তির আশ্রয়। এ বছর নিজের বাগান থেকে বরবটি, ঢ্যাঁড়স, পুঁইশাকসহ আরও অনেক কিছুই তুলে খাচ্ছেন। ফলনও হয়েছে প্রচুর।
তিনি বলেন, ‘আমার এবং মায়ের ব্যালকনিতে লাল রঙের প্রচুর বরবটি হয়েছে, খেয়ে আমরা শেষ করতে পারিনি। অনেক আত্মীয়স্বজনের বাসায় পাঠিয়েছি। লাউ, শিম ধরেছে অনেক। অনেক জয়তুন, জলপাই ধরেছে। ১২ মাস আম ধরে।’ তাঁদের হাতের স্পর্শে যে এত এত ফল ও সবজি ফলছে, এতেই খুশি এই অভিনেত্রী।
উপহার হিসেবে গাছ পেলে খুশি হন জয়া। এমনকি সুযোগ পেলে বিদেশ থেকেও গাছ নিয়ে আসেন তিনি। একবার ভারত থেকে লাগেজে করে গাছ নিয়ে এসেছিলেন। একবার স্ক্যানিংয়ে দেখা যায়, তাঁর লাগেজে পেয়ারাগাছ। বিমানবন্দরের লোকেরা এ নিয়ে হাসাহাসিও করেছেন। বলছিলেন, আপনাদের দেশে তো পেয়ারাগাছ পাওয়া যায়, এ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছেন কেন?
করোনায় কেবল বাগান পরিচর্যাই নয়, একটি ছবির শুটিংও করেছেন জয়া আহসান। জানালেন শখের কিষানি থেকে শিগগিরই আবার চলচ্চিত্রে নিয়মিত হবেন তিনি। আগামী মাসের প্রথম দিকেই একটি সিনেমার শুটিং শুরু করছেন। ঢাকার দুটি ছবির কাজ শেষ করে যাবেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।